
মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দেশকে নেতৃত্বশূন্য করতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এমন একটা সময় আসবে, যখন নেতা খুঁজে পাওয়া যাবে না। শুধু বিএনপি নেতৃত্বশূন্য হবে না, আওয়ামী লীগও নেতৃত্বশূন্য হয়ে যাবে। আমি ভবিষ্যদ্বাণী করে গেলাম।
আজ বুধবার (১ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিক উদ্দিনের আদালতে রিমান্ড শুনানি সময় এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা আব্বাস আদালতকে বলেন, মিথ্যাভাবে আমাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছি। এরশাদ সরকারের পতন ঘটিয়েছি। দীর্ঘ ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে অনেক আন্দোলন করেছি। কিন্তু এমন সময় আর দেখিনি।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় মির্জা আব্বাসকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মির্জা আব্বাস বলেন, দেখে দেখে নেতাদেরকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কারাগারে রাখা হচ্ছে।
বক্তব্যের একপর্যায়ে মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা এরশাদের পতন ঘটিয়েছি, শেখ হাসিনারও পতন ঘটিয়েছি। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা সমস্বরে চিৎকার করে ওঠেন। মির্জা আব্বাস তখন থেমে যান।
তাকে গ্রেপ্তার করা এবং রিমান্ডের বিষয়ে মির্জা আব্বাস কোনো বক্তব্য না দিয়ে বলেন, আমার আইনজীবীরা বক্তব্য রেখেছেন। বিচারককে বলেন, আপনি সিদ্ধান্ত দেবেন। কী দেবেন, সেটা আপনার বিষয়।
মির্জা আব্বাসের বক্তব্যের পর আদালত আদেশ দেন। পুলিশের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পাঁচ দিনই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত আদেশে বলেছেন, আইনজীবীদের বক্তব্য অনুযায়ী মির্জা আব্বাস অসুস্থ। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাকে সতর্কতার সঙ্গে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। একই সঙ্গে তার যে যে ওষুধ প্রয়োজন, সেগুলো নিয়মিত সরবরাহ করতে হবে।
মেসেঞ্জার/আল আমিন