
রোমান সানা। ছবি : সংগৃহীত
দুই বছরের নিষেধাজ্ঞায় আছেন দেশসেরা আর্চার রোমান সানা। সতীর্থ এক আর্চারের সঙ্গে অসদাচরণের কারণেই তাকে এই শাস্তি দেয় বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশন। তবে খুব সহসায়ই মাঠে ফেরা হচ্ছে না তার। হয়তো অপেক্ষা করতে হবে নভেম্বর পর্যন্ত।
গত ৭ মার্চ শর্তসাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ফিরেই স্বাধীনতা দিবস আর্চারিতে ভালো পারফরম্যান্স দেখালেও জাতীয় দলে এখনই ফেরা হচ্ছে না রোমানের্।
তুরস্কের আনতালিয়ায় ১৮-২৩ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ আর্চারির স্টেজ ওয়ানে খেলবে বাংলাদেশ। তবে সেই দলে নেই রোমান সানা।
প্রতিযোগিতায় রিকার্ভ বিভাগে আছেন হাকিম আহমেদ রুবেল, আব্দুর রহমান, সাগর ইসলাম, রামকৃষ্ণ সাহা ও দিয়া সিদ্দিকী। কম্পাউন্ড বিভাগে জায়গা পেয়েছেন আতিকুজ্জামান ও পুস্পিতা জামান।
নিষেধাজ্ঞায় থাকলেও ক্যাম্পের বাইরে নিয়মিত অনুশীলনে ছিলেন দেশসেরা এ আর্চার। প্রায় চার মাস পর খেলায় ফিরে স্বাধীনতা দিবস আর্চারিতে রিকার্ভ এককে সোনার পদক জিতেছেন রোমান। তার বিপক্ষে বিশ্ব আর্চারি ফেডারেশনও তদন্ত করছে।
ব্যাংককে আগামী নভেম্বরে অলিম্পিক বাছাই রয়েছে। সেখানে রোমানকে পাঠানো হতে পারে বলেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আর্চারি দলের হেড কোচ মার্টিন ফ্রেডরিক জানান, বিশ্ব আর্চারির তদন্তের কারণেই তাকে এখন জাতীয় দলে নেয়া হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, রোমান এখনও পর্যবেক্ষণে রয়েছে। বিশ্ব আর্চারি থেকে তদন্ত হচ্ছে শুনেছি। তাই এখনই ওকে জাতীয় দলে নেওয়া হচ্ছে না। তবে তুরস্কের পর শিগগিরই হয়তো কোনও টুর্নামেন্টে রেমানকে দেখা যেতে পারে।
এই বিষয়ে রোমান সানা বলেন, ফেডারেশন যেটা ভালো মনে করবে সেটাই করবে। এ বিষয়ে আমার নিজস্ব কোন মতামত নেই। ফেডারেশনের মতই আমার মত।
টিডিএম/এএম