ঢাকা,  রোববার
১৬ জুন ২০২৪

The Daily Messenger

পাঁচ বছর আগে নিরুদ্দেশ হওয়া ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ২৩ মে ২০২৪

পাঁচ বছর আগে নিরুদ্দেশ হওয়া ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর

ছবি : মেসেঞ্জার

পাঁচ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ভারতীয় নাগরিক শেভরন কুমার (২৫) কে পরিবারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এবং ভারতের গেদে বন্দরের শুন্য রেখায় দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, ইমিগ্রেশন, কাস্টমস থানা পুলিশের কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মানসিক ভারসাম্যহীন শেভরন বাংলাদেশের নাটোর জেলা কারাগারে বন্দি ছিল প্রায় আড়াই বছর। শেভরন কুমারের বাড়ি ভারতের বিহার রাজ্যের রানাগঞ্জে।

বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে নাটোর জেলা পুলিশের হাতে ২০২০ সালের জানুয়ারি আটক হয় শেভরন। আদালতের মাধ্যমে তাকে নাটোর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সেখানে ছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর তাকে চুয়াডাঙ্গা কারাগারে নেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা কারাগারে ২ বছর ছিল শেভরন।

সাজার মেয়াদ শেষ হলে গত ৩০ এপ্রিল প্রত্যাবসনের জন্য তাকে দর্শনা চেকপোস্ট সীমান্তে নেয়া হয়। কিন্ত সেদিন তার কোন অভিভাবক উপস্থিত না থাকায় ভারতীয় থানা পুলিশ তাকে গ্রহণ করেনি। আবার ঠাঁই হয় কারাগারে। এদিন তাকে হস্তান্তর করা সম্ভব হয় না।

পরবর্তীতে একাত্তর টিভির জেষ্ঠ্য চিত্রসাংবাদিক অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শামসুল হুদার প্রচেষ্টায় শেভরন কুমারের পরিবারের ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর আজ দুপুরে দর্শনা বন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে শেভরন কুমারকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়।

দর্শনা সীমান্তে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চিত্রসাংবাদিক মো: শামসুল হুদা, শেভরন কুমারের বাবা দেবনাথ ঋষি এবং দুলাভাই ছোটু কুমার উপস্থিত ছিলেন।

শেভরন কুমারের বাবা দেবনাথ ঋষি বলেন, আমি গরীব মানুষ। র্দীঘদিন পর সবার প্রচেষ্টায় আমার পাগল ছেলেকে খুঁজে পেলাম। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

চিত্রসাংবাদিক মো: শামসুল হুদা বলেন, শেভরনের দেয়া ঠিকানাটা ভুল ছিল। তারপর ৩০ দিনের প্রচেষ্টায় তার ঠিকানা খুঁজে পায়।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার সুবেদার জামাল হোসেন, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিক, দর্শনা থানার এসআই শামীম হোসেন, ডিএসবি সেলিম হোসেন প্রমুখ।

ভারতের পক্ষে ছিলেন গেঁদে ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এসি বিতাশী, গেঁদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ জেসি দে, কাস্টমস সুপার দিলীপ কুমার পাল, রামাতার পি যাদব, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এসআই পরিভ্রান্ত শিং, ডিআইবি সাধন মন্ডল রেডক্রস প্রতিনিধি চিত্তরঞ্জন প্রমুখ।

মেসেঞ্জার/লিটন/আপেল

Advertisement