ছবি : মেসেঞ্জার
নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু তার বন্ধু জাহাঙ্গীর চৌধুরীকে কি (কাপ-পিরিচ) প্রতীকে সমর্থন দিয়েছেন।
স্থানীয় এমপির সমর্থন দিয়েছেন মর্মে একটি মিছিলের শ্লোগানের মাধ্যমে অনেকটা পরিষ্কার হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিছিলের ভিডিও প্রচার হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সাংসদকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সমর্থন না জানানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কিন্তু সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে সাংসদ ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু তার বন্ধু জাহাঙ্গীর চৌধুরীকে (কাপ-পিরিচ) প্রতীকে সমর্থন জানিয়েছেন বলে সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে।
সাংসদ ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু তার বন্ধু জাহাঙ্গীর চৌধুরীকে (কাপ-পিরিচ) প্রতীকে সমর্থন দিয়েছেন কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর চৌধুরী জানান, সংসদ সদস্য ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু নাগরিক কমিটির একজন সদস্য আর নাগরিক কমিটি আমাকে নির্বাচনে সমর্থন দিয়েছে।
গত ২১ মে বিকেল বেলা কেন্দুয়ার রামপুড় বাজারে এমপি পিন্টুর সরাসরি নির্দেশনায় মিটিং করে জাহাঙ্গীর চৌধুরীর পক্ষে মিছিল করা হয়।
জাহাঙ্গীর চৌধুরী চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। সেই মিছিলের একটি উল্লেখযোগ্য স্লোগান ছিলো, পিন্টু ভাই এর কাপ-পিরিচ যা সরাসরি নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন।
এই ঘটনায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন কেন্দুয়ার নেতাকর্মীরা৷ অথচ পিন্টু পন্থী অন্যান্য প্রার্থীদের অনুরোধ ছিলো যে, এমপি মহোদয় যেন নিরপেক্ষ থাকেন।
এলাকায় প্রচার হচ্ছে যে, সাংসদ ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর ঢাকার কলাবাগান বাসা থেকে অনেককে মোবাইল ফোনে জাহাঙ্গীর চৌধুরীর পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন। এর পাশাপাশি বাসায় ঢেকে এনেও কর্মী সমর্থকদের জোর জবরদস্তি করছেন। এমনকি আগামী ৪/৫ বছর সব ধরনের সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত করা হবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন।
সাংসদ ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায় যেহেতু সংসদ সদস্য সরাসরি সমর্থনের সুযোগ নেই, তাই তার সমর্থকরা জাহাঙ্গীরের পক্ষে কাজ করার জন্য মাঠে নেমেছেন।
সাংসদ ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু তার বন্ধু জাহাঙ্গীর চৌধুরীকে (কাপ-পিরিচ) প্রতীকে সমর্থন দিয়েছেন কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংসদ সদস্যকে বারবার ফোন করা সত্ত্বেও তারা ফোন ধরেননি ফলে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মেসেঞ্জার/নজরুল/আপেল