ঢাকা,  সোমবার
১৭ জুন ২০২৪

The Daily Messenger

কবি নজরুলের গান ও কবিতা মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণার যুগিয়েছে : কৃষিমন্ত্রী

ময়মনসিংহ ব্যুরো

প্রকাশিত: ২১:৩৮, ২৫ মে ২০২৪

কবি নজরুলের গান ও কবিতা মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণার যুগিয়েছে : কৃষিমন্ত্রী

ছবি : ডেইলি মেসেঞ্জার

কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সাম্যের কবি, প্রেমের কবি, বিরহের কবি, বিদ্রোহের কবি এবং জাতীয় কবি। জাতীয় কবির গান ও কবিতা স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিকামি মানুষদেরকে প্রেরণা যুগিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন রাজনৈতিক কবি এবং নজরুল ছিলেন সাহিত্যের কবি।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় তিন দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপনী ভাষণে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শনিবার (২৫ মে) ময়মনসিংহের ত্রিশালে নজরুল অডিটোরিয়ামে সংস্কৃিত মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবং ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় কবির জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। এ বছর কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং নজরুল’ ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রধান করেন মোঃ নজরুল ইসলাম এমপি, মোঃ আব্দুল মালেক সরকার এমপি, এবিএম আনিসুজ্জামান এমপি, মাহমুদ হাসান সুমন এমপি, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ শাহ আবিদ হোসেন, পুলিশ সুপার মাসুম আহাম্মদ ভূঁঞা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাহিদ খান ভোলা।

স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম। 

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু কবিকে বাংলাদেশের নিয়ে আসেন এবং জাতীয় কবি হিসেবে ভূষিত করেন। কবি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক একজন মানুষ। তাইতো তিনি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন যা তাঁর বিভিন্ন লেখনিতে ফুটে উঠেছে। কবির স্মৃতি বিজড়িত এই ত্রিশালে এসে বুঝলাম এখানকার মানুষ নজরুলপ্রেমী, সাহিত্যপ্রেমী। তাইতো কবির নামে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভবিষ্যতে ত্রিশালে জাতীয় পর্যায়ের আদলে তিন দিনব্যাপী নজরুল জন্মজয়ন্তী উৎসব পালন করা হবে।

প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, ময়মনসিংহ অঞ্চল একটি কৃষি নির্ভর জায়গা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে কোনো কৃষি জমি খালি রাখা যাবে না। তিনি কৃষি বিপণন বৃদ্ধি করার জন্য স্থানীয় সংসদ এবং প্রশাসনকে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষকমন্ডলী, বিভিন্ন রাজনৈতিক অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তিন দিনব্যাপী নজরুল একাডেমির মাঠে নজরুল গ্রামীণ মেলা ও বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।

মেসেঞ্জার/সজিব

Advertisement