ঢাকা,  সোমবার
১৭ জুন ২০২৪

The Daily Messenger

ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলায় কতটুকু প্রস্তুত পবিপ্রবি?

পবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:২২, ২৫ মে ২০২৪

আপডেট: ১২:১০, ২৬ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলায় কতটুকু প্রস্তুত পবিপ্রবি?

ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলায় কোনো প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়নি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) প্রশাসনের পক্ষ থেকে। 

শনিবার (২৫ মে) গোটা দেশ জুড়ে আতঙ্কের নাম ঘূর্ণিঝড় রিমাল। বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায় যে, মধ্য-বঙ্গপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আজ রাত ৯ টার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় রিমালে পরিণত হতে পারে এবং তা আগামীকাল ২৬ মে সন্ধ্যার দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে অবস্থিত জেলা সমুহে আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়া অফিসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায় তীরে আঘাত হানার সময় এই ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল থেকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং যার গতিবেগ হতে পারে ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটারের মতো।

দেশের এই দুর্যোগকালীন মুহূর্তে গোটা দেশ যেখানে ব্যস্ত ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি যথাসম্ভব মোকাবেলা করে এর ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার। সেখানে দেশের সমুদ্রতীরবর্তী জেলা পটুয়াখালীতে অবস্থিত স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় পবিপ্রবির নেই কোনো প্রস্তুতি।

এমনকি এই দূর্যোগকালীন সময়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করার কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক।

এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ উদ্দিনকে জিজ্ঞেস করায় তিনি জানান, ‘আগামী ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার কথা থাকলেও ওই তারিখেই তারা সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি ঘূর্ণিঝড়ের কথা জানার পরেও এখনো অবধি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং অনুষদ থেকে তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পরীক্ষা বন্ধের মতো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।’

তিনি আরো অভিযোগ করেন, ‘আবাসিক শিক্ষার্থীরা এই নিয়ে রয়েছে চরম উৎকন্ঠায়। দমকা হাওয়া অথবা বৃষ্টি আসা মাত্র হলগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং এর আগেও অনেক সময় একটানা ৩ থেকে ১২ ঘন্টা অবধিও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখার নজিরও দেখা গিয়েছে। এমতাবস্থায় তারা না পারছে পড়াশুনা করতে তার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যেই পরীক্ষার তারিখ পূর্বনির্ধারিত হওয়াতে তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে সংকিত’।

এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে যে সব অনুষদগুলোই তাদের ক্লাস ও পরীক্ষা কার্যক্রম বজায় রেখেছে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীন।

তারা প্রত্যাশা করেন জরুরী ভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ঝুঁকি মোকাবেলা করতে আগামী ২৬ শে মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করবেন এবং আবাসিক শিক্ষার্থীদের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে তাদের নিরাপত্তা রক্ষায় নির্দেশনা দিয়ে জরুরী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবেন।

মেসেঞ্জার/তুহিন/আপেল

Advertisement