ছবি: পিআইডি
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিবুর রহমানের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সচিবালয়ের নিজ দফতরে এই আলোচনা হয়।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এ ইস্যু নিয়ে ব্রিটেন সবসময়ই বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে আসছে। রোহিঙ্গাদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণ ও আয়বর্ধক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা প্রয়োজন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কথা শুনেন এবং তাদের এ উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করেছেন। কিন্তু তাদের বিশাল জনগোষ্ঠীর দায়ভার সরকারের পক্ষে বহন করা এখন একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের ১৭ কোটি মানুষের সঙ্গে তাদের লাইভলিহুড বাংলাদেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। বর্তমান গাজা ও বৈশ্বিক অন্যান্য ইস্যুর সঙ্গে যেন রোহিঙ্গা ইস্যু বিলীন হয়ে না যায়।
দুর্যোগ প্রতিরোধে দেশে ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন জানিয়ে মহিবুর রহমান বলেন, নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে এসব স্বেচ্ছাসেবক রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থলে স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন। দুর্যোগকালে এই ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের পাশাপাশি আরও ১০ মিলিয়ন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেন।
এ বিষয়ে সারাহ কুক বলেন, ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশ সরকারকে আগের মতো সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। আমরা শুধু এই সরকারকে সহযোগিতা করতেই চাই না, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোহিঙ্গা ইস্যু স্পট লাইট হিসেবে কাজ করবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান ব্রিটিশ হাই কমিশনারকে বঙ্গবন্ধু স্মারক উপহার দেন।
বৈঠকে ব্রিটিশ প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন- হিউম্যানেটেরিয়ান অ্যাডভাইজার কৃষ্ণান নাইর, ব্রিটিশ হাই কমিশনারের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মুসাউইর আহমেদ।
প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব কে এম আব্দুল ওয়াদুদ, হাসান সারওয়ার, এ বি এম শফিকুল হায়দার, মো. রবিউল ইসলাম ও প্রতিমন্ত্রীর পিএস মো. আবুল কালাম তালুকদার ও এপিএস মো. আসিফ হাসান।
মেসেঞ্জার/হাওলাদার