ছবি : মেসেঞ্জার
সাভারে রংমিস্ত্রি সাজ্জাদ হোসেনকে (২২) ছুরিকাঘাতে হত্যার প্রধান আসামী কিশোর গ্যাং সদস্য আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো সুইস গিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সাভার মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) আব্দুল্লাহিল কাফী। এর আগে, রবিবার রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আল আমিন (২০) কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার বানুয়ান ঢাঙ্গের বাজার এলাকার জালাল বাবুর্চির ছেলে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাভার পৌরসভার সবুজবাগ এলাকার সরোয়ার হোসেন ভাণ্ডারীর ছেলে স্বপন ওরফে দস্যু স্বপন (২৮), কোটবাড়ী এলাকার সাজু হোসেনের ছেলে রাব্বি (১৯) ও ইয়াছিনসহ (২০) অজ্ঞাত আরও তিনজন। তাদের মধ্যে স্বপনের নামে সাভারসহ দেশের বিভিন্ন থানায় আরও পাঁচটি মামলা রয়েছে।
নিহত সাজ্জাদ হোসেন ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার রায়ের বাজার ছাতা মসজিদ এলাকার মো. শাহীন আলম নুরার ছেলে। তিনি সাভার পৌরসভার আড়াপাড়া এলাকার কফিল উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থেকে হেমায়েতপুর এলাকায় ফার্নিচার দোকানে রংমিস্ত্রির কাজ করতেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফী জানান, ঘটনার দিন গত ১২ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিদ্যুৎ না থাকায় সাভারের আড়াপাড়া এলাকার বালুর মাঠে বসে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিল সাজ্জাদ। এ সময় স্বপন গ্যাংয়ের দুই সদস্য ব্যাগে করে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছিলো। সাজ্জাদ ও তার বন্ধু ব্যাগে অস্ত্র দেখে তাদের চড়-থাপ্পড় দিয়ে অস্ত্র নিয়ে ঘুরতে নিষেধ করে। পরে তারা ঘটনাস্থল থেকে ফিরে স্বপন, আল আমিন, রাব্বি ও ইয়াসিনসহ আরও দুই থেকে তিনজন সংঘবদ্ধ হয়ে বালুর মাঠে এসে সাজ্জাদ ও তার বন্ধুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাজ্জাদকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের হলে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে রবিবার রাতে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া থেকে হত্যাকারী আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুইস গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামি স্বপন, মুরগি রাব্বি ও ইয়াসিনসহ অজ্ঞাতনামাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলাম, সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামানসহ সাভার মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা।
মেসেঞ্জার/নোমান/সুমন