ঢাকা,  শনিবার
০৪ মে ২০২৪

The Daily Messenger

বান্দরবানে মাশরুশ প্রকল্পের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

বান্দরবান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বান্দরবানে মাশরুশ প্রকল্পের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

ছবি : ডেইলি মেসেঞ্জার

মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ বৃদ্ধি ও খাবার হিসেবে জনপ্রিয় হওয়ায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বর্তমানে বড় ভূমিকা রাখছে। মাশরুম খুবই সম্ভাবনাময়। এটি খুবই পুষ্টিকর। এতে গম ও চালের চেয়ে ১০-১২ ভাগ বেশি প্রোটিন রয়েছে। এছাড়া মাশরুম অর্থকরী ফসল। দেশে বর্তমানে ৪০ হাজারের অধিক টন মাশরুম প্রতি বছর উৎপাদন হচ্ছে, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৮০০-৯০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ অনেক দেশেই মাশরুম রফতানির সুযোগ রয়েছে। শুকনা ওয়েসটার মাশরুমের দুবাই, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে অনেক চাহিদা আছে। মাশরুমের আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে শিক্ষিত বেকারদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে নিরলসভাবে কাজ করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকালে সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের বিক্রিছড়া এলাকায় 'মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাস করণ প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত মাঠ দিবস' এ বক্তারা এসব কথা বলেন। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবানের এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ তপন কুমার পাল। অধিদপ্তরটির বান্দরবানের পরিচালক এমএম শাহ্ নেয়াজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি অঞ্চলের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. নাসিম হায়দার, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, বান্দরবান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুলহাস আহমেদ, বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট বান্দরবানের কনসালটেন্ট কৃষিবিদ ক্যছেন, হর্টিকালচার সেন্টার বান্দরবানের উপর পরিচালক কৃষিবিদ আমিনুর রশিদ, বান্দরবান প্রেসক্লাবের প্রতিনিধি ও দ্য ডেইলি মেসেঞ্জারের বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি টিংশৈপ্রু মংটিং প্রমুখ। 

বক্তারা আরো বলেন, মাশরুম চাষ করার জন্য কোনো আবাদি জমির প্রয়োজন হয় না। ঘনবসতিপূর্ণ ও বিপুল জনসংখ্যার বাংলাদেশে খাবারের চাহিদা বাড়ছে অথচ খাবার জোগান দেওয়ার জমি প্রতি বছর কমছে। এ বাস্তবতায় অনুৎপাদনশীল ফেলনা জমির স্বল্প পরিমাণ ব্যবহার করেই বিপুল পরিমাণ মাশরুম উৎপাদন করা যায়। এ পর্যন্ত মাশরুমের ১৬২টি জাত দেশে এনেছে মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট। দেশে চাষের উপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের পাহাড়ি ও বনাঞ্চল থেকেও ১৪০টি জাত সংগ্রহ করা হয়েছে।

মাঠ দিবসে শতাধিক নারী-পুরুষ কৃষক ও মাশরুম চাষী উদ্যোক্তরা অংশ নেন। 

মেসেঞ্জার/সজিব

dwl
×
Nagad

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_07/tp4l1yw3zz9u/public_html/bangla/details.php on line 700