ছবি : মেসেঞ্জার
পারিবারিক কলহের জেরে গাজীপুরের শ্রীপুরে আজিদা বেগম(৩৮)কে নির্মমভাবে গলাকেটে হত্যার ঘটনার নিহতের স্বামী ও তার সহযোগীকে কুমিল্লা ও গাজীপুরের আলাদা স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, প্রধান আসামী নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার উনমান্দি গ্রামের ইব্রাহীমের ছেলে মো. ইদ্রিস মিয়া(৫৫) ও সহযোগী একই জেলার সদর থানার জামাদি গ্রামের আরশ আলীর ছেলে রহমত আলী (৫৫)।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, গত ২১ এপ্রিল শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা গ্রামের বাবুলের ভাড়া বাড়ির টিনের ঘর থেকে ভিকটিম আজিদা বেগমের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ছোট ভাই মোস্তফা বাদী হয়ে থানায় একটি অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-১ এর একটি দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ এপ্রিল ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান আসামি ইদ্রিস মিয়াকে কুমিল্লা জেলার বলেশ্বর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জয়দেবপুর থানার রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সহযোগী রহমত আলীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, আট বছর আগে ইদ্রিস মিয়া এবং ভিকটিম আজিদা বেগম দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকেই তাদের মাঝে পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জের ধরে প্রতিনিয়ত ঝগড়া-বিবাদ হতো। এর জেরে ইদ্রিস মিয়া ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২০ এপ্রিল রাতে ইদ্রিস মিয়া ও সহযোগী আসামী রহমত আলী ভিকটিম আজিদা বেগমের ঘরে প্রবেশ করেন। এক পর্যায়ে ভিকটিম আজিদা বেগমকে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরি দিয়ে গলাকেটে ও সহযোগী আসামী মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকান্ডের সাথে আসামিরা জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে।
মেসেঞ্জার/দিশা