ঢাকা,  শনিবার
০৪ মে ২০২৪

The Daily Messenger

ভোটের রাতে গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৫৬, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ১৫:৫৪, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ভোটের রাতে গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

ছবি : মেসেঞ্জার

নোয়াখালী সুবর্ণচরে বহুল আলোচিত গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  একই সাথে তাদের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।  

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টায় নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সুবর্ণচরের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মো. রুহুল আমিন(৪০). মো. সোহেল (৩৮), মো. হানিফ (৩০), স্বপন (৪২), মো. চৌধুরী (২৫), ইব্রাহীম খলিল বেচু (২৫), মো. বাদশা আলম বসু (৪০), আবুল হোসেন আবু (৪০), মোশারফ (৩৫), মো. সালাউদ্দিন (৩২), মো. জসিম উদ্দিন (৩২), মো. হাসান আলী বুলু (৪৫), মো. মুরাদ (২৮), মো. জামাল ওরফে হেঞ্জু মাঝি (২৮) ও মো. সোহেল (২৮)। দন্ডপ্রাপ্ত অপর আসামী মো. মিন্টু ওরফে হেলাল (২৮) ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন ।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে (৪০) মারধর ও গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারী চার সন্তানের জননী। নির্যাতিত নারীর অভিযোগ ছিল, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জের ধরে ওই হামলা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি তখন দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। ওই ঘটনার পরদিন (৩১ ডিসেম্বর) নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কার হওয়া প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের  বিরুদ্ধে বিগত ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গণধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী ও মামলার বাদী সিরাজ উদ্দিন বলেন, আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আসামীদের বাড়ি আমাদের একই এলাকায় এবং তারা প্রভাবশালী তাই আমরা সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রশাসন ও আদালতের কাছে আমাদের আর্জি তারা যেন আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।

আদালতে বাদপক্ষের আইনজীবী মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন বলেন, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। আসামি পক্ষের পাঁচজন সাফাই সাক্ষী প্রদান করে। তবে কোনো সাক্ষীই ভোট কেন্দ্রে পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ায় জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেনি।

আসামীপক্ষের আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার বলেন, এ মামলা অন্য কোনো সাক্ষী না নিয়ে বাদীর পরিবারের লোকজন আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। আমরা এরায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

মেসেঞ্জার/ফারদিন

dwl
×
Nagad

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_07/tp4l1yw3zz9u/public_html/bangla/details.php on line 700