ছবি : মেসেঞ্জার
বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী আইসিপি পয়েন্টে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ অংশগ্রহণে ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে পঞ্চগড় ব্যাটালিয়ন (১৮ বিজিবি) আয়োজনে উদযাপিত হয় ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস। অনুষ্ঠানের শুরুতে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে রিট্রিট সিরিমনির উদ্বোধন করা হয়। পরে দুই বাহিনীর মধ্যে ফল, মিষ্টি, ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির উত্তর পশ্চিম রিজিয়ন ও রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)’র নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি শ্রী সুরিয়া কান্ত শর্মা।
বক্তব্যে তারা বলেন, তারা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত পরস্পর ভাতৃপ্রতীম ও বন্ধু দেশ। দু’দেশের মধ্যে ভাতৃত্ব ও সোহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় ১৬৬১ শহীদ সেনা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। এ জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ভূমিকা ছিল।
তাই স্বাধীনতা দিবসে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের নিয়ে রিট্রিট সিরিমনি প্রদর্শন ও উপহার বিনিময়ে এ ধরণের আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানান বিএসএফ’র নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি শ্রী সুরিয়া কান্ত শর্মা। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে ও সীমান্তরক্ষায় এক সাথে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন তারা।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)’র ঠাকুরগাঁও সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার এম এইচ হাফিজুর রহমান, পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক যুবায়েদ হাসান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)’র ১৭৬ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট এসএস সিরোহী সহ দুই বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও রিট্রিট প্যারেড উপভোগ করতে আসা বাংলাদেশ ও ভারতের স্থানীয় মানুষজন।
মেসেঞ্জার/দোয়েল/শাহেদ