ছবি : মেসেঞ্জার
মেঘনা নদীর লক্ষীপুর অংশে অসংখ্য ডুবো চর সৃষ্টি হওয়ায় নাব্যতা সংকটের কারনে ভোলার ইলিশা- এবং লক্ষীপুরের মজু চৌধুরীর হাট রুটে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় উভয় পাড়ে প্রায় ৩ শতাধিক মাল বোঝাই ট্রাক, কার্ভাড ভ্যান ও যাত্রী বাহী বাস আটকা পড়েছে।
বিশেষ করে চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, নারায়নগন্জ, এমনকি ঢাকার সাথে ব্যবসা বানিজ্য এবং মালামাল সহজে পরিবহনের জন্য ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাটি এবং বরগুনার ব্যাবসায়ীরা এ রুটটি ব্যবহার করে থাকেন।
কিন্তু সাধারণত বর্ষাকালে উজানের পানি প্রবাহ বেড়ে গিয়ে প্রচুর পলি বহন করে ভাটির মেঘনায় জমে যায়। ফলে শুকনো মৌসুমে মেঘনায় পানি প্রবাহ কমে গেলে অসংখ্য ডুবো চরের সৃষ্টি করে এবং নদীতে নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপরে আলাপকালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের ভোলা ইলিশা অফিস ষ্টেশন ম্যানেজার পারভেজ খান বলেন, স্বাভাবিক সময়ে একটি ফেরি ইলিশা ঘাট থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরের মজু চৌধুরীর হাট যেতে ৩/৪ ঘন্টা সময় লাগলেও শুকনা মৌসুমে নদীতে পানি স্বল্পতা ও ডুবো চরের কারনে ৭/৮ ঘন্টা সময় লেগে যায়।
ফলে সময়ে সময়ে মেঘনার দু পাড়ে অসংখ্য যান বাহনের জট তৈরি হয়। এতে একদিকে পচনশীল পন্যবাহী যানবাহন সময়মত গন্তব্যে পৌঁছতে না পারায় ব্যাবসায়িরা বিশাল অথনৈতিক ক্ষতির সমুক্ষীন হন।
ইলিশা ফেরি ঘাটে অবস্থানরত ট্রাক ড্রাইভার মানিক মিয়া, আবু তাহের ও জামাল বলেন, তারা ভোলা চরফ্যাশন থেকে তরমুজ ও তরকারি নিয়ে আজ ৩ দিন পারাপারের অপেক্ষায়। তাদের তরমুজে ইতিমধ্যেই পচন ধরেছে।
আর সেক্ষেত্রে ড্রেজিং করে চর কেটে দিয়ে অথবা মজু চৌধুরীর হাট থেকে ফেরি ঘাটটি মতির হাটে স্থানান্তরিত করা হলে ২ ঘন্টায় ফেরি পারাপার সম্ভব। কারন সে ক্ষেত্রে ইলিশা ও মজু চৌধুরীর হাটের মধ্যে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে।
জানা যায়, ভোলা লক্ষীপুর সড়কের ন্যায় লক্ষীপুর মতির হাট সড়কটিকে ও ইতিমধ্যে ভারী যানবাহন চলাচল উপযোগী করে নির্মাণ করা হয়েছে।
মেসেঞ্জার/কামাল/আপেল