ছবি : মেসেঞ্জার
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে বাগানের এক হাজার কলা গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের চরনিকলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে কলা গাছের মালিক আব্দুল আওয়াল বাগানে গিয়ে গাছগুলো কাটা দেখতে পায়। একই ইউনিয়নের খরক গ্রামের মৃত ছোবাহানের ছেলে মাজেদুল গাছগুলো কেটে ফেলে।
জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার আলীপুর গ্রামের আব্দুল আওয়াল বিদেশে থাকাবস্থায় মাজেদুল ও ইকবালকে নিয়ে অলোয়া ইউনিয়নের চরনিকলা এলাকায় ১৭ বিঘার জমি লিজ নেন। সেখানে কয়েকটি পুকুর খনন করা হয়। পরে পুকুরের চতুর্দিকে কলাগাছ রোপন করা হয়।
এরপরে মাজেদুল আওয়ালের কাছ থেকে ২০২২ সালে ৪ লাখ টাকার চুক্তিতে ২ বছর ভোগ দখলের জন্য ২টি পুকুরের কলা গাছ কিনে নেন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় মাজেদুল তার লোকজন নিয়ে আওয়ালকে না জানিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলে। যদিও গাছগুলো কাটার কোন শর্ত ছিল না। পরে বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাতাব্বরদের অবহিত করে বিচার চান ভুক্তভোগী।
অভিযোগের বিষয়ে মাজেদুল বলেন, চুক্তি অনুযায়ী এখনো মেয়াদ শেষ হয়নি, আরও কিছু দিন রয়েছে। তাই আমি গত ২ এপ্রিল মঙ্গলবার পরিপক্ক কলাগাছের গোড়ায় থাকা কলা গাছের পোয়া ও আগাছা পরিস্কার করেছি কিন্তু কাটিনি। পরে জানতে পারি বড় বড় কলাগাছগুলো কে বা কারা কেটে ফেলেছে। এছাড়া কলাবাগানের চুক্তি শেষ হলেও পুকুরে ১০ ভাগ শেয়ার রয়েছে।
কলা গাছের মালিক আব্দুল আওয়াল বলেন, পুকুরে মাছ চাষ ও পুকুর পাড়ে কলার বাগান শুরু করাকালে মাজেদুল এসব দেখাশোনা করতো। পরবর্তীতে তাকে ১০ ভাগ ব্যবসার সাথে শেয়ার করলে তাকে সবকিছুর দায়িত্ব দেয়া হয়। এই সুযোগে মাজেদুল ভুয়া চুক্তিনামা তৈরি করে টাকা পয়সা নয়-ছয় করে।
পরে বিদেশ থেকে আসার পর মাজেদুলের কাছে হিসাব চাইলে সে তালবাহান করে। সে স্থানীয় হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে কলা গাছগুলো কেটে ফেলে। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবিষয়ে কোর্টে মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এবিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আহসান উল্ল্যাহ বলেন, কলা গাছ কাটা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।
মেসেঞ্জার/অভিজিৎ/তারেক