ঢাকা,  শনিবার
১৮ মে ২০২৪

The Daily Messenger

রাকাবকে একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশিত: ১২:৩১, ৪ মে ২০২৪

আপডেট: ১৭:১২, ৪ মে ২০২৪

রাকাবকে একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি

ছবি : মেসেঞ্জার

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সহিত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের একীভুতকরণ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বগুড়া সাতমাথায় শনিবার সকালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। জেলার সচেতন কৃষক সমাজ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীবৃন্দ, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, ভুমিহীন ও বর্গাচাষী সমিতি, হালকা প্রকৌশল ব্যবসায়ীবৃন্দ, রাকাব কর্মচারী সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন এ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেছে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৮৭ সালে সরকারের প্রশাসনকে বিকেন্দ্রীকরণ নীতির আওতায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের তৎকালীন রাজশাহী বিভাগকে আলাদা করে গঠন করা হয় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক যা বর্তমানে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সকল মানুষ বিশেষত¦ কৃষক শ্রেনীর নিকট আজ এক নির্ভরশীলতার প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। উত্তরাঞ্চলের কৃষকদের সেবা নিশ্চিত করতে ২০১৪ সালে বর্তমান সরকার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) আইন মহান জাতীয় সংসদে পাস করে। এরপর থেকে উত্তরোত্তর উন্নতির পথে অগ্রসর হয় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) উত্তরাঞ্চলের একক সরকারী ব্যাংক হওয়ায় এখানে কৃষি ঋণ পাওয়া অনেক সহজ।

রাজশাহীতে প্রধান কার্যালয় হওয়ায় গ্রাহকরা সহজেই তাদের যে কোনে সমস্যার সমাধান পায়। রাকাবকে একীভূত করা হলে আমলাতান্ত্রিক জঠিলতা বাড়বে যার কুফল ভোগ করবে এ অঞ্চলের কৃষক। রাকাবের নিবিড় সেবা ও শস্য ঋণ সহজীকরনের ফলে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চল আজ সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা। রাকাবের অর্থায়নে বগুড়ায় কৃষিসহ এসএমই খাতের ব্যাংক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বগুড়ার খ্যাতি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত (বিকেবি) একীভুত করা হলে বড় ঋণ পেতে ঢাকায় যেতে হবে, যা এ অঞ্চলের কৃষি ব্যবসায়ীদের জন্য এক বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাড়াবে। রাকাব এখন প্রতি বছর পরিচালন মুনাফা করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠান। বিপুল অংকের লোকসান মাথায় নিয়ে বিকেবি এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান রাকাবকে কাছে টানার চেস্টা করছে। সরকারের উচিত বিকেবির সংগে রাকাবকে একীভূত না করে বিকেবিকে ভেঙ্গে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ করা।

সভায় অংশগ্রহনকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জানান, রাকাবে রয়েছে আধুনিক ও অনলাইন ব্যাংকিং সেবা। কৃষকরা সস্তায় ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ সকল ধরনের আধুনিক সেবা পাচ্ছে। রয়েছে মুঠোফোনে অ্যাপ ভিত্তিক সেবা। ফলে সহজেই ব্যাংকে না গিয়ে ব্যাংকিং করা যায়। বিকেবির ব্যাংকিং এখনও আধুনিক হয়নি। রাকাব বিকেবি একীভৃতি হলে পূর্বের ন্যায় আঞ্চলিক বৈষম্য সৃষ্টি হবে এবং শস্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত বগুড়ার শস্য উৎপাদন ব্যাহত হবে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ৪৩টি আঞ্চলিক ব্যাংক রয়েছে । সেখানে বাংলাদেশে ১টি আঞ্চলিক ব্যাংক রাকাবকে বিলুপ্ত করার সার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র যে কোন মুল্যে রুখে দিতে চান বগুড়ার মানুষ।

মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি  সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক, সভাপতি সাবেক  সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মোজাফফর হোসেন, সাবেক সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মেজবাহউর রহমান খান, সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা রেজাউল করিম খান, সমিতির  সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম প্রমুখ। এসময় সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মেসেঞ্জার/দিশা

dwl

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_07/tp4l1yw3zz9u/public_html/bangla/details.php on line 770