ছবি : মেসেঞ্জার
তীব্র তাপদহের পর মঙ্গলবার দিনগত রাতে চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে রাতে ঝিলমিল জোসনার আলো ছিল। সবটুকু আলো ঢেলে দিয়েছিল জোসনার চাঁদ। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে হঠাৎ মেঘের গর্জন। সারা আকাশ জুড়ে মেঘ।
এরপর রাত ১টার দিকে টিপটিপ সামান্য বৃষ্টি শুরু হলো। তবে বেশিক্ষন ছিলনা। ১ টা ১০ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট। এরপর সাবেক অবস্থায় ফিরে আসে আবহাওয়া।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বৃষ্টি কামনায় মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গায় ইস্তিসকারের সালাত আদায় করেন মানুষ। রাতে মেঘ দেখে স্বস্তি ফিরে আসে মানুষের মধ্যে।
আকাশে মেঘের গর্জনে কালবৈশাখি ঝড়ের ধারনা করছিল মানুষ। কিন্তু সেটা হয়নি। আধা ঘন্টা পর মেঘ কেটে গিয়ে আবারও আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়।
১.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র। কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ জামিনুর রহমান জানান, রাতে অনাকাঙ্খিত হালকা বৃষ্টি হয়েছে। ভারতের পুর্ব মেদিনীপুর ও বর্ধমান এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল। মেঘের অবস্থান ছিল উচ্চ স্তরে। রাতে এই মেঘমালা যশোর, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের উপর দিয়ে ভেসে যাওয়ার সময় নিম্নস্তরের মেঘের সাথে মিশে যায়। এর ফলে হালকা বৃষ্টি হয়।
তবে তাপমাত্রার কোন পরিবর্তন হয়নি। তাপদাহ চলমান রয়েছে। আগামীতে তাপমাত্রা আরো বাড়বে। আপাতত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এপ্রিল মাসজুড়ে তাপমাত্রার এ অবস্থা বিারজমান থাকবে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রের্ড করা হয়েছে ৩২.৭ ডিগ্রী। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৩ শতাংশ। দুপুর ১২ টায় ৩৯.০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ২৩ শতাংশ। বিকেল ৩ টায় ৪১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আদ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।
মঙ্গলবার এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রোদের তীব্রতা আর প্রচন্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত।
মেসেঞ্জার/লিটন/আপেল