ছবি : মেসেঞ্জার
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের একটি মাদরাসার ছয় ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে হাফেজ মিজানুর রহমান নামের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত ওই মাদরাসা শিক্ষককে জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পৃথক পৃথকভাবে তিনটি মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলার দেবীগঞ্জ পৌর শহরের আলহেরা মাদরাসা মিজানুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। পাশাপাশি মাদরাসার ছয় ভুক্তভোগী ছাত্রকে হেফাজতে নেয়া হয়।
মিজানুর রহমান আলহেরা মাদরাসায় প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ গোড় গ্রামের লতিফুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আলহেরা মাদরাসায় আবাসিক ও অনাবাসিক ব্যবস্থায় চালু রয়েছে পাঠদান। গত মঙ্গলবার মাদরাসার কর্তৃপক্ষ প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ পেলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে থানা পুলিশকে না জানিয়ে ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে।
চাকরিচ্যুত হলে জনরোষের ভয়ে ওই শিক্ষক মাদ্রাসায় অবস্থান করলে বুধবার বিষয়টি জানাজানি হয়। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ তৈরি হয়। তার ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে রাত পৌনে ৮টায় উপস্থিত হয়।
এদিকে মাদরাসা কমিটি মাদরাসা ভাঙ্গচুরের অভিযোগ এনে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে। ছাত্রদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ও মারধর করে তিনি এই অপকর্ম করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে আলহেরা মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই প্রধান বলেন, গত ৭/৮ বছর থেকে এখানে শিক্ষকতা করছেন মিজানুর রহমান। তার বিরুদ্ধে গতকাল এক অভিভাবক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনলে তাকে জরুরী মিটিংয়ের মাধ্যমে মাদরাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, মাদরাসার ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিজানুর রহমান নামের একজন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পৃথক পৃথকভাবে তিনটি মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত ওই মাদরাসা শিক্ষককে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মেসেঞ্জার/দোয়েল/আপেল