ছবি : মেসেঞ্জার
কোন সম্মেলনের ছাড়াই রায়পুর পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগ। গত ৫ ডিসেম্বর কোহিনুর বেগমকে সভাপতি ও সাহেদা আক্তারকে সম্পাদক করে ৩১ সদস্যর একটি কমিটি অনুমোদন দিয়ে স্বাক্ষর করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ ও সম্পাদক রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠান।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে কমিটি প্রকাশিত হলে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে আওয়ামী লীগ সহ সহযোগী সংগঠনের মধ্যে। অনুমোদিত কমিটিতে জেলা ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কোন স্বাক্ষর নেই। এ কমিটির বিষয়ও জানা নেই তাঁদেরও।
জানা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীপুর-২ আসানের সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নের সুপারিশে কোন সম্মেলন ছাড়া পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের ৩১ সদস্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
এতে জেলা ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাথে যোগাযোগ ও অনুমোদ নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে জেলা ও উপজেলা মহিলা আওয়মীলীগের মধ্যে। তাদের দাবি মহিলা আওয়ামী লীগের কোন কমিটি জেলা ও উপজেলার নেতাদের সাথে যোগাযোগ না করে কীভাবে আওয়ামী লীগ নেতারা মহিলা আওয়ামীলীগের কমিটি অনুমোদন দিয়েছে তা তারাই ভালো জানে। মহিলা আওয়ামীলীগ সম্মেলন ছাড়া কোন কমিটি অনুমোদন দেয় না এবং দিবেও না।
নতুন কমিটির সভাপতি কোহিনুর বেগম বলেন, আমার কমিটিতে মহিলা আওয়ামীলীগের কেউ স্বাক্ষর বা অনুমোদন না দিলেও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ভাই স্বাক্ষর দিয়েছে। এতে আমাদের কমিটি অনুমোদন হয়েছে।
উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামছুর নাহার লিলি বলেন, মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি উপজেরা আওয়ামী লীগ নেতারা অনুমোদন দেওয়ার সাংগঠনিক কোন নিয়ম নেই। যে কমিটিতে জেলা ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কোন স্বাক্ষর নেই এটি একটি ভূয়া কমিটি। এ ভূয়া কমিটি নিয়ে জেলা ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মেসেঞ্জার/সুমন/আপেল
