ছবি: র্যাব-১১ সৌজন্যে
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সাদ্দাম হোসেনকে (২৬) ঢাকার ধানমন্ডির জিগাতলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
গত শুক্রবার (২৯ মার্চ) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে র্যাব-১১।
জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলার গুতিয়ার গ্রামের ভিকটিম আমাল হোসেন জমির কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। সেই সুবাদে জমি বিক্রয়ের শর্তে ভিকটিম তার নিজ এলাকার মাহবরু রহমানের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা বায়না গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাহবুব জমির টাকা দিতে না পারায় আমাল হোসেন বায়নার টাকা ফেরত দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে চরম বিরোধ ও প্রায় সময় কথা কাটাকাটি চলছিল।
সেই বিবাদের সূত্র ধরে ২০১৪ সালের ২৪ জুন আসামি যুবলীগ নেতা সাদ্দাম ও আরও ৫ জন সহযোগী মিলে ভিকটিমকে টার্গেট করে রাস্তার মধ্যে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে ভিকটিম জীবন বাঁচাতে দৌড়ে তার বাড়িতে উঠলে সেখানেও আসামি ও তার সহযোগীরা ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে মারধর করে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় ১৮৬০ সালে দণ্ডবিধি আইনের ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানায়, গত ২৪ মার্চ রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত নারায়ণগঞ্জ আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা ৬ আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এর মধ্যে ৪ জন আসামি জেলহাজতে রয়েছেন।
মামলার ৫নং আসামি শরীফ (২০) এবং ৬নং আসামি সাদ্দাম (২৬) পলাতক ছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে বর্ণিত বিষয়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাব গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করে। র্যাব-১১ একটি গোয়েন্দা দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬নং আসামি সাদ্দাম হোসেনকে (২৬) গ্রেপ্তার করে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মেসেঞ্জার/হাওলাদার