ছবি: মেসেঞ্জার
শেরপুরের নকলা উপজেলার ২নং নকলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম রবি-কে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে এবং ন্যায্য মূল্যের পণ্য বিতরণে নিয়ম বহির্ভূত অর্থ আদায় করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দলীয় সভাপতির পদ হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। যদিও উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম সোহেল ভিডিও রেকর্ডের মাধ্যমে প্রেস বিজ্ঞপ্তির স্বাক্ষাৎকারে জানান, রবিউল ইসলাম রবি-কে দলীয় সভাপতির পদসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নকলা উপজেলা শাখার কার্যকরী কমিটির এক জরুরী সভায় উপস্থিতিদের সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত মোতাবেক রবিকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। এদিন বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম সোহেলের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ও ভিডিও রেকর্ডের মাধ্যমে প্রেস বিজ্ঞপ্তির স্বাক্ষাৎকারে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এবিষয়ে মো. রবিউল ইসলাম রবি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অনীত দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের এবং ন্যায্য মূল্যের পণ্য বিতরণে নিয়ম বহির্ভূত অর্থ আদায়ের অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি বলেন, আমি চক্রান্তের শিকার। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে কিছু অসাধু লোক আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে ফাঁসাতে চাচ্ছে। আমি দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের মতো কোন কাজ করিনি। তাছাড়া ন্যায্য মূল্যের পণ্য বিতরণে নিয়ম বহির্ভূত অর্থ আদায় করার অভিযোগটিও ভিত্তিহীন। কারন ন্যায্য মূল্যে বিতরণের উদ্দেশ্যে আনা পণ্যের সাথে দলীয় বা সরকারের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা নেই। পণ্য গুলো একটি বেসরকারি সংস্থা তথা ব্যক্তি মালিকানা। এটা এক প্রকার ব্যবসার মতো। ব্যবসাতে কেউ কম লাভ করবে, আবার কেউ বেশি লাভ করবে; এতে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করা ও নিয়ম বহির্ভূত অর্থ আদায় করার অভিযোগ হওয়ার কথা নয়। সুবিধা ভোগীরা পণ্য ও দামের বিষয়ে জেনে শুনেই টাকা দিয়েছে।
রবিউল ইসলাম রবি আরো বলেন- নকলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই সদস্য বিশিষ্ট (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) হতে সভাপতিকে অব্যাহতি দিলে কমিটির অর্ধেক থাকে। তাতে নকলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা। কারন সহসভাপতি না থাকায় সভাপতির দায়িত্বভার বুঝে নেওয়ার মতো কেউতো নেই। তাছাড়া আমি একা এই ব্যবসার সাথে জড়িত নই, আমার সাথে ২নং নকলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগন বিষয়টি জানেন এবং তারাও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করায় বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, আমি চক্রান্তের শিকার। এবিষয়ে প্রয়োজনে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের শরণাপন্ন হবেন বলে ২নং নকলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত মো. রবিউল ইসলাম রবি জানান।
মেসেঞ্জার/নাইম/ফারদিন