ছবি : সংগৃহীত
ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের সালান্দর এলাকায় নিখোঁজের দুই দিন পর নিজ বাড়ির বসত ঘরের পেছন থেকে মো. নিবির (১৩) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে শহরের মাদ্রাসা পাড়া এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশু নিবির ওই এলাকার ওমান প্রবাসী আব্দুল সালাম বাবুলের ছেলে। সে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত।
পুলিশ ও নিহত স্বজনরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে খাবার খেয়ে বাড়ির পাশে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যায় নিবির। এরপর সে আর বাড়ি ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও সন্ধান মেলেনি তার। পরে আজ ভোরে নিজ বাড়ির বসতঘরের পেছন থেকে নিবির মরদেহ দেখতে পায় তার মা শিল্পী খাতুন। এ সময় পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদর থানা পুলিশ, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে মা শিল্পী খাতুন আহাজারি করতে করতে বলেন, দুইদিন থেকে কত জায়গাতে খোঁজাখোঁজি করেও তাকে পায়নি। অথচ আজ তার মরদেহ বাড়ির পেছনে পাওয়া গেল। আমার সন্তানকে কেউ শত্রুতাবশত অপরহণ করে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। তবে কীভাবে কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেননি স্বজন এবং প্রতিবেশীরা।
স্থানীয় ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জমিরুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাতের কোনো এক সময় বাড়ির পেছনের গলিতে শিশুটির মরদেহ রেখে যায় ঘাতকরা।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, শিশুটির মরদেহ ফুলে গিয়েছে। হত্যাকাণ্ডটি আজকে সংঘটিত হয়নি। ময়নাতদন্তের জন্য শিশু নিবিরের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পরে সঠিক তথ্য জানা যাবে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। কারা, কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে পুলিশ। এর আগে শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর তার মা শিল্পী খাতুন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বলে জানান ওসি।
মেসেঞ্জার/দিশা