ছবি : মেসেঞ্জার
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ভাংচুর ও হুমকী ধমকীর অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলম।
তিনি রায়পুর শহরে নির্মাণাধীন একতা টাওয়ারের মালিক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সহকারি কমান্ডার এবং রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কেরোয়া গ্রামের বাসিন্দা।
রবিবার (২১ এপ্রিল) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলম মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দির রুবেল ভাটসহ ছয় জনকে আসামী করা হয়। অন্যরা হলেন রায়পুর পৌরসভার বাসিন্দা মহিউদ্দিন বিপ্লব, আলম মিয়া, মো. সবুজ, মাহমুদুন্নবী ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার আটিয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহের সাগর।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে রায়পুর থানাকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী এডভোকেট নিজাম উদ্দিন।
তিনি বলেন, মামলা নং সি আর ৩১৪/২০২৪ এবং বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৪৪৭, ৩৮৫, ৪২৭, ৫৯৬(২) ধারায় আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে রায়পুর থানার ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি আর্কিটেক ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা ডিজাইন তৈরি করে এবং রায়পুর পৌরসভা থেকে যথাযথ অনুমোদন নিয়ে রায়পুর শহরে মেইন রোডের পার্শ্বে নিজস্ব ভূমিতে একতা টাওয়ার নামে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করে আসছেন।
বর্তমানে উক্ত ভবনের ছয় তলার ছাদের নির্মাণ কাজ চলছে। কিছুদিন থেকে পৌর মেয়রের নেতৃত্বে বিবাদীরা তার নিকট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দিলে তারা তাকে ভবন নির্মাণ করতে দিবেনা বলে হুমকী ধমকী দিয়ে আসছে।
তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত ৪ মার্চ মেয়রের নেতৃত্বে সকল বিবাদীরা নির্মাণাধীন টাওয়ারের স্থলে এসে বাদীকে খুঁজতে থাকে এবং দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে না পেয়ে সীমানা প্রাচীরসহ বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করে এক লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
বাদী এ ঘটনার বিভিন্ন মহলে অবহিত করলে তারা তাকে স্থানীয় ভাবে মীমাংশা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মামলা দায়ের করা থেকে বিরত রাখে।
পরবর্তীতে তিনি ওমরা করার জন্য মক্কা শরীফ চলে যান। ফিরে আসার পরও এ ব্যাপারে কোন সুরাহা না হওয়ায় তিনি রবিবার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, এ মামলার বিষয়ে আমার কিছুই জানা নাই। আদালতে দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত আমাকে অপরাধী বলা যাবেনা।
মেসেঞ্জার/শিবলু/তারেক