ছবি : মেসেঞ্জার
বগুড়ায় ৩৫ বছর পর দ্বিতীয় নতুন রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় ৪১.০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে ৪০.০৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এর আগে বগুড়ায় ১৯৮৯ সালে ৪৪.০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। বগুড়ায় চৈত্র মাস থেকে শুরু হওয়া দাবদাহ ধারাবাহিক ভাবে বেড়েই চলছে। অসহনীয় গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বগুড়ার জনজীবন।
গেল কয়েকদিন থেকে এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। বগুড়ার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যাবেক্ষক আব্দুর রশিদ জানান, বগুড়ায় মঙ্গলবার বিকেল ৩ টায় ৪১.০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে চলতি সপ্তাহে (২৬ এপ্রিল) শুক্রবার ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
মঙ্গলবারের (৩০ এপ্রিল) বগুড়ার ইতিহাসে ২য় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এর আগে ১৯৮৯ সালে ২১ শে এপ্রিল বগুড়ায় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল। তীব্র তাপদাহ চলমান থাকবে। এজন্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুব কম।
তীব্র দাবদাহে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জীববৈচিত্রের ওপর। তীব্র গরমে খেটে খাওয়া মানুষদের কষ্টও বেড়েছে।
একটু স্বস্তি পেতে ঠান্ডা শরবত, পানি, আইসক্রিম খেয়েও তৃষ্ণা মেটাতে পারছে না মানুষ। তীব্র দাবদাহের মধ্যে শ্রমজীবি মানুষদের জীবিকার জন্য ছুটে চলতে হচ্ছে।
বগুড়ার রিক্সা চালক সাজু মন্ডল জানান, আজকের এ মাসের মধ্যে প্রচণ্ড গরম। গরমের কারণে দিনের বেলায় যাত্রী কম পাচ্ছি। এই গরমে যাত্রী সংকটের কারণে রোজগার কমে গেছে। সেজন্য সংসার চালানোই কষ্টকর হয়ে পড়েছে এবং নিজের শরীরও তীব্র গরম সহ্য করতে পারছে না।
কৃষক আজিজার রহমান জানান, ধানের দানা হওয়া শুরুর সময় থেকে খরা চলমান। এ খরার কারণে ধানে চিটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি আছে।
তাই জমির ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। এত গরম থাকলে জমি থেকে ধান কাটা মাড়াই করতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে।
পথচারী মানতাসির মামুন জানান, চরমতীব্র রোদের মধ্যে বাইরে বা মাঠে যাওয়া কষ্ট সাধ্য হয়ে গেছে। গ্রামে বাড়ি। মাঠে ধানী জমি আছে।
ধান পাকছে তীব্র দাবদাহের কারনে মাঠে যেতে পারছি না। বৃষ্টি হলে মানুষসহ সকল জীব ও জড় জগৎ স্বস্তি পেত।
মেসেঞ্জার/আলমগীর/তারেক