ছবি : মেসেঞ্জার
রাজশাহী মহানগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাজরা পুকুর হাউজিং এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে দুই মেয়ে নিয়ে থাকেন বয়োবৃদ্ধা রেনু বেগম। নগরীর শিরোইল কাঁচাবাজারে তার ছোট্ট একটি চায়ের দোকান।
প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে বিকেল পর্যন্ত চায়ের কাপ হাতে ছুটে বেড়ান বয়োবৃদ্ধা রেনু বেগম। কেবলমাত্র চা বিক্রি করাই তার পেশা।
বেনু বেগম জানান, তার বড় মেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী। ছোট মেয়ে চুয়াডাঙ্গা সরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউটে নার্সিং পড়ার সুযোগ পেয়েছে। মেধাবী দুই মেয়েকে নিয়েই সংসার রেনু বেগমের। উপার্জন বলতে চা বিক্রির অর্থ।
প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শিরোইল কাঁচা বাজারে চলে তার জীবন জীবিকার সংগ্রাম। বড় মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার খরচ ছাড়াও বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং ছোট মেয়ের নার্সিংয়ে ভর্তি এবং প্রতি মাসের থাকা খাওয়া সহ লেখাপড়ার সম্ভাব্য খরচ নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ছেন রেনু বেগম।
শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেও বয়োবৃদ্ধ এই নারী দুই মেধাবী মেয়েকে নিয়ে সংসারের ধরেছেন হাল শক্তভাবে। আট বছর আগে স্বামীকে হারিয়ে কঠিন জীবনযুদ্ধে একাই নামেন তিনি।
‘আত্মসম্মানবোধ ও মেয়েদের মর্যাদাহানি’ হবে এমনটা ভেবে এতোদিন সীমাহীন কষ্ট সহ্য এবং বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে তিনি নিজের জীবন কাহিনী প্রকাশ করতে চান না। তবুও ছোট মেয়ে অন্য জেলায় পড়ার চান্স পাওয়ায় তার জীবন চলার আবেগআপ্লুত অনেক কথা সাংবাদিকের মাধ্যমে হৃদয়বান ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বলতে বাধ্য হয়েছেন, চেয়েছেন মানবিক সহায়তা।
মেসেঞ্জার//আনিসুজ্জামান/আপেল