ঢাকা,  মঙ্গলবার
২১ মে ২০২৪

The Daily Messenger

এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৪৪, ১০ মে ২০২৪

আপডেট: ১৫:৪৪, ১০ মে ২০২৪

এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ছবি : মেসেঞ্জার

এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সারাদেশে সমবায় ছড়িয়ে দিতে হবে, খাদ্যের নিশ্চয়তা ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। সরকারে আসার পর থেকেই প্রচেষ্টা ছিল দেশের মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে।

যে কারনে আমি আহবান করছি সকলকে, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না। যখন কিছু বলি নিজেরটা আগে করতে হয়। গণভবনে সব কিছুই চাষ করা শুরু করেছি। করে আগে দেখি সেখানে কেমন হয়। টুঙ্গিপাড়ায় আনাবাদি জমি চাষের আওতায় নিয়ে এসেছি।

ইতিমধ্যে অনেক জমি নিয়ে আসা হয়েছে। কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়ার যত অনাবাদি জমি থাকবে সবই আমি চাষের আওতায় নিয়ে আসতে চাই। সেখানে যাদের যাদের জমি আছে একসাথে চাষ হবে, যে ফসল আসবে যার যার জমির ভাগ অনুযায়ী সে ভাগ পাবে আর কিছু আমরা রেখে দিবো। জমির মালিকরাও ভাগ পাবে, যারা কাজ করবে, শ্রম দিবে সেই কৃষাণ-কৃষাণী তারাও ভাগ পাবে।

আর আমাদের এই সমবায়ের কাছে রাখা হবে কিছু উপকরণ ক্রয় করা, মেশিন সংরক্ষণ করা এবং যথাযথভাবে ব্যবহার করা। সেইভাবে যদি আমরা করতে পারি আশা করি বাংলাদেশের কোন মানুষ আর দরিদ্র থাকবে না, কারো কাছে মাথা নিচু করে চলতে হবে না। মাথা উঁচু করে চলতে পারবে, আমাদে দেশটাও চলতে পারবে।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কায্যালয়ে দাঁড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির সদস্যদের সাথে মতবিনমিয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যে সমবায় করতে চেয়েছিলেন তারই আলোকে আমরা “আমার বাড়ী আমার খামার” গড়ে তুলি। এটি হলো প্রতিটি পরিবারে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের ব্যবস্থা। ক্ষুদ্র ঋণের অধিক যে কর দিতে হয় তা দিতে হবে না। টাকা নিয়ে অতিমাত্রায় সুদ দিতে হয় সেটা দিতে হবে না। বরং সমবায়ের মাধ্যমে প্রত্যেকটি পরিবারকে যে সহযোগীতা করবো সেটা থেকে যে উৎপাদন হবে সেই উৎপাদন থেকেই কেউ যদি এক’শ জমাতে পারে তাহলে সরকারের কাছ থেকে আরো এক’শ টাকা দেয়া হবে দুই বছরের জন্য। সেটা জমা হবে তার মুলধন হিসাবে। এজন্য আমরা একটি ব্যাংক তৈরী করেছি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক। এই পল্লী সঞ্চয় ব্যাংককে টাকা জমা থাকবে। প্রকল্পের মাধ্যমে যারা আস্তে আস্তে স্বাবলম্বী হবে তাদের টাকা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে থাকবে।

সেটা মূলধন হিসাবে যিনি ব্যবসা করেন, হাঁস মুরগী পালন, চাষ করা বা যে যেই কাজ করবে ওই ব্যাংক থেকেই টাকা নিবেন, লোন শোধ দিবেন, স্বাবলম্বী হবেন। এই চিন্তাটা মাথায় রেখে যেটা জাতির পিতা করতে চেয়েছিল প্রত্যেকটি পরিবার যেন স্বাবলম্বী হয়, দারিদ্র থেকে মুক্ত হয়। সেটা লক্ষ্য রেখেই ক্ষুদ্র সঞ্চয় এই পরিকল্পনা আমি নেই এবং সেটা আমরা বাস্তবায়ন শুরু করি।

বিএনপি জামানকে উদ্দেশ্যে করে শেখ হাসিনা বলেন, দূর্ভ্যাগের বিষয় হলো ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত ক্ষতায় এসে একেবারেই বন্ধ করে দেয়, এটার কোন কায্যকারিত থাকে না। পরবর্তীতে আমরা সরকারে এসেছি, আসার পরে আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং একে একে আমরা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক উন্নত করে গড়ে তোলা এবং সেই সাথে ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ দেয়া আর ঋণের সাথে সাথে যারা সঞ্চয় করবে, সঞ্চয় করতে পারলে তাদেরকে এ আর্থিক সহায়তার দিয়ে স্ববলম্বী করে গড়ে তোলা সেই কাজটা আমরা করে যাচ্ছি। এছাড়াও কর্মসংস্থান ব্যাংক নামে একটি ব্যাংক করেছি। সেখানে আমাদের যুবসমাজ লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজ করতে পারে। আর পাশ করে চাকরীর পিছনে না ছুটে নিজে একজন স্বাবলম্বী হতে পারে। সেটা মাথায় রেখেই এই কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে ঋণ পায় সেই ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমাদের দেশে বর্গা চাষী আছে। বর্গা চাষীরা কখনো ঋণ পেত না। ঋণ পাওয়ার তো কোন সুযোগ নেই কারন তারা জামাতন রাখতে পারে না। বর্গা চাষীদের জন্য জামানত বিহীনের মাধ্যমে কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়া সেটাও আমি ৯৬ সালে ক্ষমতা এসে করে দিয়েছি। এই কারনে আমি দেখেছি যে মহাজনের কাছ থেকে অনেক সুদে টাকা নিয়ে দিতে পারে না, তার উৎপাদিত পণ্য ভোগ করতে পারে না। সেজন্য আমরা এ ব্যবস্থাটা করে দিয়েছি। পাশাপশি আমাদের যুবসমাজের জন্য সেখান থেকে লোন নিয়ে তারা নিজেরা কিছু কাজ করবে। তারা এককভাবে বা যৌথভাবে নিতে পারে। যেমন একক দুই লাখ টাকা পযর্ন্ত বিনা জামানতে দেয়া হয়। কয়েকজন নিয়ে যদি একটা গ্রুপ তৈরী করে বা এক ব্যক্তি কোম্পানী খুলতে পারবে সেজন্য কোম্পানী আইনও করে দিয়েছি। এক ব্যক্তি একটা কোম্পানী খুলে সেও ব্যবসা করতে পারে সেই সুযোগটা আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, পাশাপশি আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। আজকে কম্পিউটার শিক্ষা দেওয়া, অনলাইনে ব্যবসা করা, অনলাইনে কাজ করা সেই সুযোগ আমরা করে দিয়েছি। ফ্রিল্যান্সার ট্রেনিং দিচ্ছি, ট্রেনিং দিয়ে দেশে বসে বিদেশের যাতে অর্থ উপার্জন করতে পারে বা দেশের ভিরতেরও কাজ করতে পারে সে ব্যবস্থাটা আমরা করে দিয়েছি।

বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করার ফলে আমাদের তথ্য প্রযুক্তির যোগাযোগ আরো সহজ হয়ে গেছে। দূর্গম এলাকা পযর্ন্ত সংযোগ থাকে সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। এই যে আমাদের বেসরকারী এত টেলিভিশন সেগুলো এখন এ স্যাটেলাইট থেকে চলছে। আমাদের আর বিদেশী অর্থ দিয়ে বিদেশ থেকে ভাড়া করে আনতে হয় না আমাদের স্যাটেলাইট ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু একটা স্যাটেলাইটের মেয়াদ থাকে ১৫ বছর। প্রায় ১০ বছর হয়ে গেছে আমাদের এখন ১৫ বছরের আগে আরেকটা করতে হবে। এটার মেয়াদকাল শেষ হয়ে গেলে এটা আর চলবে না। এখন থেকে আমরা দ্বিতীয় স্যাটেলাইট নির্মাণেরও ব্যবস্থা নিয়েছি। সেটি আরো শক্তিশালী হবে, সেখানে আমাদের আবহাওয়া বার্তা থেকে শুরু করে সব ধরনের সুযোগ আসবে। সেই ধরনের নতুন স্যাটেলাইট আমরা করে দিবো। একেবারে প্রত্যন্ত আঞ্চলে, গ্রাম অঞ্চলে, চর অঞ্চলে, দিপাঞ্চলে, সব অঞ্চলের মানুষ যেন যোগাযোগটা, তথ্যপ্রযুক্তি যোগাযোগ করতে পারে, অনলাইনে যোগাযোগ করতে পারে। মোবাইল ফোন কারো হাতেই ছিল না। আমিই প্রথম মোবাইল ফোন উন্মুক্ত করে দেই সকলের হাতে। এখন মোটামুটি সকলের হাতেই মোবাইল ফোন আছে। এমনকি বাংলা অক্ষরও মোবাইল ফোনে আছে যেটা দিয়ে লিখতে পারি। সেই ভাবেই আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। অর্থাৎ দারিদ্র বিমোচন করে মানুষকে জীবনমান উন্নত করা, যেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। সেটা বাস্তবায়নের জন্য অনেকগুলো ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি তার মধ্যে এটা একটা ব্যবস্থা। যেটা একেবারে হতদরিদ্র থেকে মানুষকে মুক্তি দিবে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমার আরেকটি বিষয় কোন মানুষ ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না। কাজেই যে সমস্ত পরিবারের ঘরবাড়ি নেই, জমি নাই আমরা তাদেরকে বিনা পয়সায় ঘর তৈরী করে দিচ্ছি। সারা বাংলাদেশেই আমরা এটা করে যাচ্ছি। আমাদের অল্প কিছু বাকী আছে, তাহলেই আমরা সারা বাংলাদেশটাকে ভূমিহীন, গৃহহীন মুক্ত বলতে পারবো। সবার একটা ঠিকানা হবে।

একটা বাসস্থান হলে তার একটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। সেটা এখন আমরা করে দিচ্ছি এবং যাতে দেশটা এগিয়ে যায়। এর সুফল এখন মানুষ পাচ্ছে।

সার্বজনীন পেনশন স্কীম নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নিজে যারা কাজ করে খান তাদের জন্য সার্বজনীন পেনশন স্কীম। এই সার্বজনীন পেনশন স্কীম আমি এইভাবে করেছি যারা একটু অর্থশালী তারা ৫ হাজার টাকা করে রাখতে পারবে প্রতি মাসে। ২০ বছর বা ৩০ বছর বা ৪০ বছর পর থেকেই এই পেনশনের টাকা তুলতে পারবেন। আবার প্রবাসী যারা বিদেশে কাজ করে তাদের জন্যও একটা স্কীম আছে। তারাও সেখানে দুই বা তিন হাজার টাকা রাখতে পারে। শুধু বর্তমানে না ভবিষ্যতে আমাদের মানুষের জীবন যাতে সুরক্ষিত থাকে, বয়স হলে গেলে কারো উপর বোঝা হতে না হয় সেজন্য এই ব্যবস্থা করেছি।

ভাতা চালু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে প্রথম সরকারে এসে আমি বয়স্ক ভাতা চালু করি, বিধবা ভাতা চালু করি, স্বামী পরিত্যাক্ত ভাতা চালু করি, আমরা সেই সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করি। এমনকি আমাদের কর্মজীবি মেয়ে, গর্ভবতী তাদেরকে ভাতা দিচ্ছি। শিশু ও নারীদের পুষ্ঠি নিশ্চয়তা করার জন্য ভাতা দিচ্ছি, এভাবে আমরা বহুমুখি কর্মসূচী নিচ্ছি। আমি চাই না আমাদেরে দেশের লোক সারা জীবন ভাতার উপর নির্ভরশীল থাকুক। পেনশন স্কীমে যোগ দিলে আর ভাতার উপর নির্ভর থাকতে হবে না। ধীরে ধীরে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে, একটি ময্যাদা নিয়ে সমাজে বাঁচতে পারবে। সেজন্য আমি এই বিশেষ ব্যবস্থাটা কেরে দিচ্ছি।

য্বুকদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যুবসমাজ কম্পিউটার ট্রেনিং নিচ্ছে, প্রত্যেটি স্কুলে স্কুলে কম্পিউটার ল্যাবরেটরি করে দিচ্ছি, আমরা ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। এর মাধ্যমে যেন প্রত্যেকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ১৫ আগষ্টের পরে দেশে বিদেশের মানুষ খুব করুনার চোখে দেখতো। বাংলাধেম মানে গরীর দেশ, বাংলাদেশ মানে দরিদ্র দেশ, মানে ভিক্ষা করে খায়, বাংলাদেশ মানুষের কাছে হাত পেতে চলে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতো যেটা আমরা খুব কষ্ট লাগতো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের মানুষ অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করে নিজের জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। স্বাধীন দেশের নাগরিক, আমরা যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। আমরা বিজয়ী নাগরকি আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবো। কেন আমাদের মাথা নিচু করে অন্যের কাছে হাত পেতে চলতে হবে।

শিশুদের লেখাপাড়ার প্রতি মনোযোগ দেয়ার আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ছোট্ট ছেলেমেয়েদের বলবো লেখাপড়া করতে হবে। আমরা দুই মাইলের মধ্যে একটা করে প্রাইমারী স্কুল এভাবে নির্মাণ করে দিয়েছি। ছেলে মেয়ে সবার জন্য সুযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমাদের শিক্ষকদের ট্রেনিং দিচ্ছি। জাতির পিতা প্রায় ২৬ হাজার স্কুল জাতীয়করণ করেছিলেন। তার পদাঙ্ক অনুসরন করে আমিও প্রাইমারী স্কুল জাতীয়করণ করে দিয়েছি। শিক্ষকদের আমরা বেতন বাড়িয়ে দিয়েছি, তাদের সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দিয়েছি। আমি বলবো আওয়ামী লীগ সরকার আসার আগে তাদের কি অবস্থা ছিল আর এখন কি অবস্থা। সেই ভাবে সর্বক্ষেত্রে আমরা মানুষকে সহযোগীতা করে যাচ্ছি।

সমবায়কে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার আহবান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমাদের দাঁড়িয়ারকুল “আমার বাড়ী আমার খামার” এই যে সমবায় সমিতি আবার কায্যকর হচ্ছে এটাই আশার কথা। আমি নিজে যাবো সকলের সাথে মতবিনিময়র করবো এটা যেন মানুষের কাছে আরো প্রচার পায় তারই ব্যবস্থা করবো। আমরা চাই সারা বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে যৌথভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করা, মানুষের খাদ্য নিশ্চয়তা করা, ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যেমে মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নতি করা এবং জীবনমান উন্নত করা সেটাই আমরা করতে চাই। এটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল এদেশের মানুষকে নিয়ে সেটাই আমার দায়িত্ব সেটাই আমার করার।

নিজ আসনের ভোটারদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাংসদ শেখ হাসিনা বলেন, কোটালীপাড়া- টুঙ্গিপাড়াবাসীর কাছে আমি এই জন্য কৃতজ্ঞ এলাকা নিয়ে আমার খুব বেশি চিন্তা করতে হয় না। সবাই মিলেই কাজ করে দেয়। আর আমি সারা বাংলাদেশটাকে দেখি। আমার তো একটি আসন। সকলের একটা করে আসন থাকে আমার ৩’শ আসন। প্রত্যেকের উন্নয়নের জন্য আমাকে কাজ করতে হয়। তারপরেও টুঙ্গিপাড়া আসলে অন্যরকম ভালো লাগে। এখানে থাকতে ইচ্ছা করে। যখন আমি অবসর পাবো এই টুঙ্গিপাড়ায়ই থাকবো এটাই আমার লক্ষ্য। দুই বোনকে এখানে থাকতে হবে।

কোটালীপাড়াবাসীকে কৃতজ্ঞা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমার দায় দায়িত্ব তো আপনারই নিয়েছেন। আমার তো কোন কষ্ট করতে হয় না, আপনারই দেখেন। কাজেই এটাও আমার জন্য বিরাট শক্তি।

এর আগে একদিনের ব্যক্তিগত সফরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গণভবন থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়া উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এসময় পরিবারের সদস্যরা ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান।

সকাল ১০টা ৫ মিনিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদিতে পুস্পমাল্য অপর্ণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এসময় তাঁর সাথে ছোট বোন শেখ রেহানা, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েলসহ পরিবারে সদস্যরা এবং গোপালগঞ্জে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আল-বেলি আফিফা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কায্যালয়ে দাঁড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির উপদেষ্ঠা হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার বাড়ী আমার খামার কর্মসূচীর আওতায় দাঁড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির সদস্যদের মধ্যে কৃষি উপকরন ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর টুঙ্গিপাড়া মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রীর। এরপর নিজ বাসবভনে অবন্থান নেন।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়াসহ জেলা জুড়ে নেয়া হয় ব্যপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সড়কে সড়কে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে নির্মাণ করা হয় তোড়ণ, টাঙ্গানো হয়েছে ব্যানার ও ফেস্টুন।

মেসেঞ্জার/বাদল/আপেল

Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_07/tp4l1yw3zz9u/public_html/bangla/details.php on line 768