ঢাকা,  মঙ্গলবার
২১ মে ২০২৪

The Daily Messenger

সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত নিউজের বিষয়ে শাজাহান খানের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৫৭, ১০ মে ২০২৪

আপডেট: ১৮:৫৭, ১০ মে ২০২৪

সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত নিউজের বিষয়ে শাজাহান খানের ক্ষোভ

ছবি : ডেইলি মেসেঞ্জার

সড়কে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই সাংবাদিকেরা বেপরোয়া গতি লিখে দেয় বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সংসদ সদস্য শাজাহান খান। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দুর্ঘটনা ঘটলেই সাংবাদিক বন্ধুরা বলে দেন, বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা (সাংবাদিক) কি গবেষণা করে দেখেছে যে দুর্ঘটনা কেন ঘটেছে?

শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে ফরিদপুর নতুন বাস টার্মিনালে ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শাজাহান খান বলেন, শিবচরে যে গাড়িটির দুর্ঘটনা ঘটল, সেটা নিয়ে বলে দেওয়া হলো—বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেল, ওই গাড়িটির সামনের চাকা বিস্ফোরিত হয়েছিল। সুতরাং আমি সাংবাদিকদের অনুরোধ করব, দুর্ঘটনা ঘটলেই যেন বলা না হয়—এটা বেপরোয়া গতি। প্রথমদিকে এমন মন্তব্য করা ক্ষতিকর, মানুষের মাঝে বিপ্লবের সৃষ্টি করে।

শাজাহান খান আরও বলেন, আমরা যদি দুর্ঘটনা ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে না পারি, আমাদের অনেক বিপদ হবে। সুতরাং কোনো ড্রাইভারের কারণে যেন দুর্ঘটনা না ঘটে।

দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ মধ্যমস্তরে আছে উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, দুর্ঘটনা হ্রাস করতে আমরা সরকারের কাছে ১১১টি সুপারিশ দিয়েছি। এগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে। দুর্ঘটনা বন্ধ হয়ে যাবে এটা যারা মনে করেন, তাঁরা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করেন। উন্নত দেশেও দুর্ঘটনা ঘটে। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় দুর্ঘটনায় আমরা মধ্যস্তরে আছি।

বর্তমানে দুর্ঘটনায় বড় অঙ্কের জরিমানা না হওয়ায় সরকারের প্রশংসা করে শাজাহান খান বলেন, আগে দুর্ঘটনায় পড়লে, হাইকোর্টে মামলা হলে কোটি কোটি টাকা জরিমানা করা হতো। এই পরিস্থিতিতে পরিবহন মালিক সমিতি উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলে ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যের পরে আর কোনো মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়নি। এভাবে প্রধানমন্ত্রী নানাভাবে আমাদের পক্ষে ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা উসমান আলী অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা আইন না করার দাবি জানান। তিনি বলেন, আজ অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা আইন খড়্গ হিসেবে শ্রমিকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শ্রমিকদের সুরক্ষায় কোনো আইন নেই কিন্তু শ্রমিকদের দাবিয়ে রাখার জন্য এই আইন সংসদে নিয়ে আসা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রমিক সুরক্ষা আইন না হবে ততক্ষণ এই আইন পাস করতে দেওয়া হবে না।

তিনি সমগ্র পরিবহন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বলেন, সংসদে নতুন করে এই আইন তোলা হলে সেদিন থেকেই গাড়ির চাকা বন্ধ হয়ে যাবে, একটি গাড়ির চাকাও ঘুরবে না।

অনুষ্ঠানে ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি জুবায়ের জাকিরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন—জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, মোটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মো. নাসিরসহ আরও অনেকে।

এর আগে সংগঠনটির ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আয় ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করেন সংগঠনটির কোষাধ্যক্ষ কাজী আরিফুজ্জামান শাহাদৎ।

পরে এই সংগঠনের মাধ্যমে নিহত ও আহত চালক ও শ্রমিকদের মধ্যে ১৮৭টি পরিবারের মাঝে ২৫ হাজার টাকার চেক ও নগদ ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

মেসেঞ্জার/হাওলাদার

Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_07/tp4l1yw3zz9u/public_html/bangla/details.php on line 768