![বরগুনার বেড়িবাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম প্লাবিত বরগুনার বেড়িবাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম প্লাবিত](https://www.dailymessenger.net/media/imgAll/2024February/Untitled-15-2405261622.jpg)
ছবি : মেসেঞ্জার
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরগুনার আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের পশরবুনিয়াসহ ৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে এলাকার শতাধিক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে যাওয়ায় সন্তানসন্তুতি, গবাদিপশু ও হাঁসমুরগী নিয়ে বিপাকে পড়েছে গ্রামবাসী। অনেকের ঘরেই জ্বলেনি চুলা।
চরম আতংকে সময় কাটছে তাদের। খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পশরবুনিয়ার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের সহায়তার আশ্বাস দেন।
বরগুনার পায়রা, বুড়িশ্বর নদীর বেড়িবাঁধে নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আতংকে দিন কাটছে উপকূলবাসীর।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার ৫ স্পটের সাড়ে ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ। কখনো ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে বেড়িবাঁধ ভেঙে চরম বিপদের সম্মুখীন হবে এলাকাবাসী।
পরিকল্পিত আর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় প্রতিবছরই ভাঙনের কবলে পড়েতে হয় উপকূলবাসীর। ঝড়-বন্যা, জলোচ্ছ্বাসের কথা শুনলেই দিশেহারা হয়ে পড়ে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। অনেককেই আশ্রয় নিতে হয় সাইক্লোন শেল্টারে।
২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরে বরগুনার উপকূলীয় জনপদগুলো চরমভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ও বদরখালী ইউনিয়ন, তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন এবং পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের মানুষের সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এরপর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা জরুরি ভিত্তিতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে।
স্থানীয়রা জানান, পায়রা, বুড়িশ্বর নদীতে জোয়ারে প্রায় ১০০ ফুট বেড়িবাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধের মাত্র দু-তিন ফুট জায়গা অবশিষ্ট রয়েছে। দ্রুত মেরামত করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে বাঁধে ধ্বস নেমে আসবে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব বলেন, তেঁতুলবাড়িয়া এলাকার বেড়িবাঁধ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রতিবছরি মেরামত করা হয়। স্থায়ী বেড়িবাঁধের জন্য, ওই এলাকায় নদী ভাঙ্গন রোধে একটি প্রকল্প প্লানিং কমিশনের কাছে আছে। প্রকল্পটি পাশ হলে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।
মেসেঞ্জার/হিমাদ্রি/আপেল