ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাহলেও লক্ষ্য পূরণ হওয়ার আগ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেমে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এ ইস্যুতে ইসরায়েলের অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত সেই ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, ‘যদি প্রয়োজন হয়, আমরা একা অগ্রসর হব…এবং আমি বলছি— যদি আর কিছুই না থাকে, তাহলে আমরা আমাদের হাতের নখ দিয়ে লড়াই করব।’
গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং তাদের মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল; আর এই যুদ্ধের শুরু থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে বিশ্বের একমাত্র এই ইহুদি রাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরোনো ও বিশ্বস্ত মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি এ ইস্যুতে এতদিন আন্তর্জাতিক জনমতও উপেক্ষা করেছে ওয়াশিংটন।
অস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি গত ৭ মাসে ইসরায়েলকে বিভিন্ন নির্দেশনাও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেসবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি নির্দেশনা ছিল (ক) গাজায় নিরপরাধ বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হতাহতের হার হ্রাস করা এবং (খ) আরও দক্ষ ও নিখুঁতভাবে অভিযান পরিচালনা করা।
কিন্তু এসব নির্দেশনার কোনোটিতেই ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন সরকার কিংবা প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) কর্ণপাত করেনি। ফলে দুই দেশের কর্মকর্তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবেই খানিকটা জটিল হয়ে ওঠে গত কয়েক মাসে।
এই জটিলতা প্রথম স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয় গত এপ্রিলে, যখন নেতানিয়াহু প্রথম গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্র এতে প্রবল আপত্তি জানায়। কারণ, ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে নিরাপত্তার জন্য লাখ লাখ ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নেওয়া শুরু করেন। এই ফিলিস্তিনিদের সবাই বেসামরিক।
সূত্র : বিবিসি
মেসেঞ্জার/ফারদিন