ছবি: সংগৃহীত
১২৮ বছরের ঐতিহাসিক জাহাজে করে আনা হচ্ছে প্যারিস অলিম্পিকের ফ্লেম। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে আনুষ্ঠানিকতা। গ্রিক কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠনিকভাবে ২৬ এপ্রিল হস্তান্তর করবে এই ফ্লেম। এর দুই দিন পর গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের পাইরেয়াস পোর্ট থেকে সমুদ্রপথে যাত্রা করবে ফ্রান্সের মার্শেইর উদ্দেশে।
ঐতিহ্যের বিচারে ফ্রান্স বরাবরই পৃথিবী সেরা। এই ঐতিহ্যকে কেন্দ্র করেই ২০২৪ অলিম্পিক বর্ণিল করার প্রচেষ্টায় প্যারিস। শুরু হয়ে গেছে গেমসের কাউন্টডাউন, অলিম্পিক ফ্লেম আনতে গ্রিসে নোঙ্গর করেছে ফ্রান্সের জাহাজ। সেখানেও নিদারুণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া।
গ্রিসে অলিম্পিক ফ্লেম আনতে 'বেলেম' নামে ১২৮ বছরের পুরনো জাহাজ পাঠিয়েছে ফ্রান্স। অনেকের প্রশ্ন জাগতে পারে শতবর্ষ পার করা সামুদ্রিক এই বাহনের কী এমন মাহাত্ম্য? ১৮৯৬ সালে প্রথমবার যখন এথেন্সে আধুনিক অলিম্পিকের প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হয়, সে বছরই জাহাজটি নির্মাণ করে ফরাসিরা। তাই কাকতালীয়ভাবে অলিম্পিকের সূচনালগ্ন থেকেই জড়িয়ে গেছে জাহাজটি।
গেল ১৬ এপ্রিল এথেন্সে জ্বালানো হয় অলিম্পিক-২০২৪'র মশাল। ২৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রিক কর্তৃপক্ষ এটি হস্তান্তর করবে প্যারিস কর্তৃপক্ষের কাছে। এর দুইদিন পর গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের পাইরেয়াস পোর্ট থেকে সমুদ্রপথে অলিম্পিক ফ্লেম নিয়ে মার্শেই'র উদ্দেশে যাত্রা করবে বেলেম।
এ বিষয়ে বেলেমের ক্যাপ্টেন আইমেরিক গিলবার্ট বলেন, ‘আমরা ১৬ জন তরুণ অলিম্পিকের মশাল নিতে এথেন্স এসেছি। এটা আমাদের জন্য বিশাল সম্মানের, একই সঙ্গে অলিম্পিকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার বড় একটা সুযোগ। এটা আমাদের বিশেষভাবে রোমাঞ্চিত করছে।’
এই জাহাজটিতে রয়েছে তিনটি মাস্তুল। ১২০০ বর্গ মিটারের বেশি এলাকা নিয়ে পাল উড়িয়ে জাহাজটি সমুদ্রপথে চলাচল করত শুধু বাতাসের সাহায্য নিয়ে। যা এই ডিজাইনের সবশেষ জাহাজগুলোর একটি।
গিলবার্ট বলেন, ‘আমরা যখন জানতে পারলাম অলিম্পিয়া থেকে জাহাজে করে আমাদের মশালটি আনতে হবে, আমরা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এটা যে করেই হোক করতে হবে। এরপর বেলেম নিয়ে চলে এলাম। এখন প্রতীক্ষা করছি এটা নিয়ে ফ্রান্সে ফেরার।’
শুরুতে পণ্য পরিবহনের জন্য কার্গো হিসেবে ব্যবহৃত হলেও জাহাজটিকে রূপান্তর করা হয় বিলাশবহুল ইয়টে। বেলেম ফান্সে তৈরি হলেও বিভিন্ন সময় এর মালিকানা ছিল ভিন্ন ভিন্ন দেশের। তবে তা আবারো ফিরে পায় ফরাসিরা। যা এখন প্রদর্শিত হয় ১৯ শতকের ঐগিহ্যগত নিদর্শন হিসেবে।
মেসেঞ্জার/ফারদিন