ছবি : সংগৃহীত
হারলেই এ বারের আইপিএল থেকে বিদায়। মাথার উপর সেই চাপ নিয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল গুজরাট টাইটান্স। চেন্নাইয়ের বোলারদের পিটিয়ে তুলধনো করে ২৩১ রানের পাহাড় গড়ে গুজরাট।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিংয়ে নামা দুজনই একই ইনিংসে জোড়া শতক হাকান। শুভমান গিল ও সাই সুদর্শন দুজনেই তুলে নিয়েছেন নিজেদের শতরান। আইপিএলের ওপেনিং জুটির রেকর্ড ভাংতে না পারলেও সেটি ছুয়েছেন শুভমান গিল ও সাই সুদর্শন।
২১০ রানে যখন তাদের জুটি ভাঙ্গে ততক্ষণে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির নজির তৈরি হয়ে গেছে।
২০২২ সালের বিজয়ী গুজরাট এই ম্যাচের আগে সবার শেষে ছিল। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে তাই প্রথম ওভার থেকেই নিজের মনোভাব স্পষ্ট করে দেন দুই ওপেনার। মাঠের এমন কোনও দিক নেই যে দিকে তাঁরা বল মারেননি। ইনিংসের অর্ধেকও তখন গড়ায়নি। ক্যামেরা ধরে চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। হতাশ মুখে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অবস্থাও সে রকম ছিল।
আসলে এই ম্যাচে চেন্নাই তিন প্রধান পেসারকে ছাড়াই খেলতে নেমেছিল। দীপক চাহার চোটের কারণে দলের বাইরে। মুস্তাফিজুর রহমান এবং মাথিশা পাথিরানা দেশে ফিরে গেছেন। ভাঙাচোরা বোলিং বিভাগ নিয়ে গুজরাটের মারমুখী ব্যাটিংয়ের সামনে সামাল দিতে পারেননি।
এক সময় মনে হচ্ছিল কে আগে শতরান করবেন। দু’জনেই দাঁড়িয়েছিলেন ৪৮ বলে ৯৬ রানে। ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সিমরজিৎকে চার মেরে শতরান পূরণ করেন শুভমান গিল। সেই ওভারেরই শেষ বলে ছয় মেরে শতরান হয় সুদর্শনের।
এরপর দুজনেই পর পর ফিরে যান। একই ওভারে শুভমন (১০৩) এবং সুদর্শনকে (১০৪) তুলে নেন তুষার দেশপান্ডে। গুজরাটের রান তোলার গতিও কমে যায়। পরের দিকের দুই ব্যাটার ডেভিড মিলার বা শাহরুখ খান সেই গতি বজায় রাখতে পারেনি।
মেসেঞ্জার/আপেল