ছবি : টিডিএম
ঢাকার ধামরাইয়ে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে নৈব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর পত্রের সেট কোড পরিবর্তন করে ভিন্ন সেট দিয়ে পরীক্ষায় সহযোগিতা করার অপরাধে দায়িত্ব প্রাপ্ত এক শিক্ষককে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় আরও ১৩ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
বুধবার (১০ মে) বিকেলে উপজেলার নবযুগ ডিগ্রি কলেজের ভ্যেনু কেন্দ্রে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী। দণ্ডপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকের নাম এমদাদুল হক। তিনি জালসা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
জানা যায়, এমদাদুল হক নামের ওই শিক্ষক নবযুগ ডিগ্রি কলেজ কুশুরা ভেন্যু কেন্দ্রে এসএসসি'র তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা চলাকালে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রশ্নের উত্তর পত্রের সেট কোড পরিবর্তন করে ভিন্ন সেট কোড ছাত্র-ছাত্রীদের পূরণ করনে সহায়তা করেন। বিষয়টির সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ওই শিক্ষককে ২ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এছাড়াও দ্বায়িত্বে অবহেলার কারণে কক্ষ প্রত্যবেক্ষকের দ্বায়িত্ব থেকে ১৩ শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ৮ জন এবং ভালুম আতাউর রহমান খান উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র থেকে ৫ জনকে আগামীকাল থেকে তাদের কক্ষপ্রত্যবেক্ষকের দ্বায়িত্ব থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় ওই শিক্ষক পরীক্ষার আইন লঙ্ঘন করে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেন। ৪টি কক্ষে ৮৬ জন শিক্ষার্থীকে একই সেট কোড ভরাট করে পরীক্ষায় সহযোগিতা করছেন এমদাদুল হক নামের ওই শিক্ষক। তখন ওই ৪টি কক্ষে দ্বায়িত্বে থাকা ১৩ জন শিক্ষক অনৈতিক কাজে বাধা না দেয়ায় ওই ১৩ জনকে তাদের দ্বায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং এমদাদুল হক নামের ওই শিক্ষককে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে ওই ১৩ শিক্ষক কক্ষ প্রত্যবেক্ষকের দ্বায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
টিডিএম/এসডি