ঢাকা,  রোববার
২৮ এপ্রিল ২০২৪

The Daily Messenger

গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি ২১ বছর পর গ্রেপ্তার

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:৩১, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি ২১ বছর পর গ্রেপ্তার

ছবি : মেসেঞ্জার

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে চাঞ্চল্যকর আলোচিত স্নেহা আক্তার (১৭) গণধর্ষন মামলার আসামি আবুল মিয়াকে দীর্ঘ ২১ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে ্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (্যাব) যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওই আসামির নাম মোঃ আবুল মিয়া ওরফে রাজিব (৪৫) ধল্লা উত্তর পাড়া গ্রামের গেদা ফকিরের ছেলে।

্যাব- সিপিসি- মানিকগঞ্জ একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ভুমদক্ষিণ গ্রামে অভিয়ান চালান।

সময় সিংগাইর থানার চাঞ্চল্যকর আলোচিত স্নেহা আক্তার (১৭) গণধর্ষন মামলায় আসামী আবুলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। সে দীর্ঘ ২১ বছর বিভিন্ন ছদ্মবেশে পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হন মো. আবুল মিয়া ওরফে রাজিব (৪৫) আবুল এক পুত্র এক কন্যা সন্তানের জনক

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম স্নেহা আক্তার (১৭) সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের চর উলাইল গ্রামের মো. ভোলা মিয়ার কন্যা। সে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার হেমায়েতপুরে একটি গার্মেন্টেসে চাকুরী করে জীবিকা নির্বাহ করত। সে প্রতিদিন তার বাড়ি থেকে গার্মেন্টেসে আসা যাওয়া করত। গার্মেন্টেসে আসা যাওয়ার পথে আবুল মিয়া ভিকটিমকে প্রায়ই কু প্রস্তাব দিত।

ভিকটিম তার কু-প্রস্তাবে সাড়া না দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৭-০৫-২০০৩ তারিখ ভিকটিম গার্মেন্টস থেকে আসার পথে ধল্লা বাজারে পৌছালে পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা আবুল মিয়া, মানিক, খালেক, কালাম ভিকটিমকে মুখ গলা চেপে ধরে জোরপূর্বক অপহরণ করে ধল্লা ইউনিয়নস্থ জনৈক ফজলু মিয়ার গাজিন্ধার চকে নিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সময় অনুমান ২১.০৫ ঘটিকায় দলবদ্ধভাবে গণধর্ষন করে।

ভিকটিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে ভিকটিমের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মো. ভোলা বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ আদালতে নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি গনধর্ষন মামলা দায়ের করেন। যার সিআর মামলা নং-৫৬৪/০৩ ধারা-নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন / ()/৩০। মামলাটি সিংগাইর থানায় তদন্তের জন্য পাঠান।

মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আসামি আবুল, মানিকসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমান উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গত ইং ১৪/০৫/১৭ তারিখ আসামী আবুলকে (২৫) ধারায় ১৪ বছর এবং () ধারায় আবুল মানিককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।

এরপর থেকে মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে আসামি পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী করেন। এরই প্রেক্ষিতে ্যাব-, সিপিসি-, মানিকগঞ্জের একটি চৌকশ আভিযানিক দল উক্ত আসামীদের গ্রেপ্তারে সোর্স নিয়োগ পূর্বক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভূমদক্ষিন এলাকা থেকে আসামি আবুলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

আত্নগোপনে থাকাকালীন সময়ে আসামির জীবনযাপন মামলা রুজুর পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে আসামি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মনাম রাজীব ব্যবহার করে আত্নগোপনে থেকে কখনো দিনমজুর সবজী বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত।

মেসেঞ্জার/মিজান/আপেল

dwl
×
Nagad