ছবি : মেসেঞ্জার
বান্দরেবানে কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের নামে গণগ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে এমন অভিযোগে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পালন করা হয়েছে।
এছাড়াও সমাবেশে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দাবি জানানো হয়।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে বাঘাছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বা ইউপিডিএফ ও তার অঙ্গ সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ যৌথভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করেছে।
সমাবেশে পিসিপির বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি কিরণ চাকমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সত্য চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি অমিতা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি উপজেলা সাধারণ সম্পদাক নিকেল চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সদস্য অপর্ণা চাকমা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিসিপির বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পুলেন চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে নাটকীয় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেএনএফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর যৌথ অভিযানের নামে সেখানকার বম জাতিসত্তার সাধারণ জনগণকে গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক।
ইতোমধ্যে সেখানে অন্তত ৭০ জন নারী-পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার মধ্যে শিক্ষার্থী ও গর্ভবর্তী নারীও রয়েছেন। শুধু তাই নয়, সেখানকার জনগণকে ৫ কেজির অধিক চাউল কেনা ও বহনের ওপর ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যার ফলে প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসরত গ্রামবাসীরা অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
বক্তারা আরো বলেন, শুধু বান্দরবানে বম জাতিসত্তার জনগণের ওপর নয়, রাঙামাটির বিলাইছড়িতে ত্রিপুরা গ্রামবাসীদেরকেও কেএনএফের তকমা লাগিয়ে দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এভাবে অন্যায় দমন-পীড়ন চালিয়ে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জাতিসত্তাগুলোকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।
সমাবেশে অবিলম্বে বান্দরবানে যৌথ অভিযানের নামে গণগ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ করা এবং গ্রেপ্তারকৃত সাধারণ গ্রামবাসীদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানান বক্তারা।
মেসেঞ্জার/সুপ্রিয়/আপেল