ঢাকা,  সোমবার
০৬ মে ২০২৪

The Daily Messenger

সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ এক মাস

ঝিকরগাছায় চিকিৎসকদের উদ্যোগে কেনা হলো নতুন ’ডায়াথার্মি’ মেশিন 

ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ২০:৪৭, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

ঝিকরগাছায় চিকিৎসকদের উদ্যোগে কেনা হলো নতুন ’ডায়াথার্মি’ মেশিন 

ছবি : মেসেঞ্জার

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে 'ডায়াথার্মি' মেশিন নষ্টের কারণে একমাস ধরে প্রসূতি বিভাগে অস্ত্রোপচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী স্বজনেরা। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা নিজেদের অর্থায়নে মেশিন কিনে এই সেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রক্তক্ষরণ বন্ধ করার এই নতুন 'ডায়াথার্মি' মেশিন কেনা হয়েছে। ফলে আগামী সপ্তাহ থেকেই সিজারিয়ান অপারেশন চালুর প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, রোগীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে বিভাগে জরুরি অস্ত্রোপচার করতে আসা বিশেষ করে সিজারিয়ান অপারেশনের রোগী তাদের স্বজনদের ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে।

জানা যায়, ডায়াথার্মি মেশিন নষ্ট হওয়ার কারণে গত ২২ মার্চের পর থেকে প্রসূতি বিভাগে অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে। ফলে একমাস সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বারবার চাহিদা দেয়া স্বত্তেও অপারেশনের জন্য জরুরি এই মেশিনের বরাদ্ব পাওয়া যাচ্ছিলোনা।

রোগীরা বাধ্য হয়েই অন্যান্য হাসপাতাল ক্লিনিকে বেশি খরচ দিয়ে সিজারিয়ানসহ প্রয়োজনীয় অপারেশন করাতে বাধ্য হচ্ছিলেন। এবার হাসপাতালের অপারেশন কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে ডাক্তাররা নিজেরাই চাঁদা দিয়ে ডায়াথার্মি মেশিন কিনেছেন।

ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রশিদুল আলম বলেন, 'ডায়াথার্মি মেশিন নষ্টের কারণে একমাস হাসপাতালের সিজারিয়ানসহ অন্য অপারেশন বন্ধ ছিল। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাহিদা পাঠালেও বরাদ্ব পেতে দেরি হচ্ছিল। রোগীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে আমরা ডাক্তাররা নিজেরা টাকা তুলে ডায়াথার্মি মেশিন কিনেছি। আশা করছি আগামী শনিবার থেকেই অপারেশন পুরোদমে চালু হবে'

জানা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার মিলে থাকার কথা ২৭ জন। অথচ চিকিৎসক আছেন মাত্র সাতজন। ১২জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের বিপরীতে আছেন পাঁচজন, ১৫জন মেডিকেল অফিসারের বিপরীতে আছেন মাত্র দুইজন!

এছাড়া বর্তমানে হাসপাতালটিতে, তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণির মোট ৪৯টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছে মাত্র ২২জন। এমন লোকবল সংকটের মধ্যে 'ডায়াথার্মি' মেশিন নষ্টের কারণে পুরোপুরি বন্ধ ছিল সিজারিয়ান অপারশন যা রোগী স্বজনদের জন্য ছিল ভোগান্তি।

মেসেঞ্জার/আলমগীর/আপেল

dwl
×
Nagad

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_07/tp4l1yw3zz9u/public_html/bangla/details.php on line 700