ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় জলাভূমি ও সবুজায়ন সংরক্ষণে গুরুত্ব দিয়ে এ ব্যাপারে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কথা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণ শেষে সময় সংবাদকে এ কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
এর আগে ‘টেকসই নগরায়ণ ও পরিবেশের সুরক্ষা সুপারিশমালা’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইউএস এইড ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
পর্যাপ্ত জলাভূমি ও সবুজায়নের অভাবে রাজধানীতে ‘হিটট্রাপ’ তৈরি হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত তুলে ধরে রাজধানীর সবুজায়ন ও জলাভূমি সংরক্ষণে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কোনো তৎপরতা আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, রাজধানীর কী পরিমাণ জায়গা সবুজ থাকতে হবে, কী পরিমাণ জায়গায় জলাধার থাকতে হবে, আগে সে ব্যাপারে একটা পরিকল্পনা থাকতে হবে। এটা মূলত বাস্তবায়ন করবে রাজউক। তবে আমরা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের নগরীগুলোতে সবুজ ও জলাধারের অনুপাত কী পরিমাণে আছে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করতে পারি।
এ প্রসঙ্গে জার্মানির রাজধানী বার্লিনের উদাহরণ দেন পরিবেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, বার্লিন নগরীর ৭০ ভাগ অংশ সবুজে ভরা। সেই তুলনায় এমনকি ন্যূনতম মানের তুলনাতেও তো আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এ নিয়ে আমরা আমাদের মতামত দিচ্ছি। যারা নগরায়ণ নিয়ে কাজ করে, নগর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি, সবুজায়ন ও জলাধারের প্রয়োজনীয়তাকে অন্তর্ভুক্ত করে ঢাকার ব্যাপারে একটা মাস্টারপ্ল্যান করার ব্যাপারে।
আসন্ন বাজেটে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জন্য বাজেট বরাদ্দের ব্যাপারে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, পরিবেশের বাজেট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়। যেমন জলবায়ু বিষয়ক বরাদ্দ বাস্তবায়ন হয় ২৫টি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। তাই এই মন্ত্রণালয়ে কত বাজেট বরাদ্দ হলো সেটা বিষয়ক নয়, বরং আমাদের চিন্তা ভাবনা ও পরিকল্পনার মধ্যে পরিবেশ বিষয়ক ভাবনাগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কি না সেটাই মুখ্য।
এর আগে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইউএস এইড বাংলাদেশের অফিস অব ইকোনোমিক গ্রোথের পরিচালক মোহাম্মদ খান, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের ভাইস প্রেসিডেন্ট গোয়েনডোলিন অ্যাপেল।
এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ডিন ড. ইজাজ হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান।
মেসেঞ্জার/হাওলাদার