ঢাকা,  মঙ্গলবার
২১ মে ২০২৪

The Daily Messenger

রাঙামাটিতে শতবর্ষী বটগাছ বাঁচাতে প্রশাসনের সাথে মুখোমুখি স্থানীয়রা

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৪৩, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

রাঙামাটিতে শতবর্ষী বটগাছ বাঁচাতে প্রশাসনের সাথে মুখোমুখি স্থানীয়রা

ছবি : মেসেঞ্জার

রাঙামাটি শহরের ট্রাইবেল আদাম এলাকার শতবর্ষী বটগাছকে বাঁচাতে প্রশাসনের সাথে মুখোমুখি হয়েছেন স্থানীয়রা। বটগাছটি কাটার জন্য এ পর্যন্ত বেশ কয়েক দফায় দফায় ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ১১টার সময়ে ট্রাইবেল আদামের শতবর্ষী বটগাছের নিচে  স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। 

জেলা তথ্য অফিসের স্থায়ী ভবনের জন্য প্রস্তাবিত ভূমিটি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয় ট্রাইবাল আদাম বটতলা এলাকায়। যদিও অবকাঠামো নির্মাণে স্থানীয়দের আপত্তি না থাকলেও বটগাছটি কাটতে বাধা স্থানীয়দের।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ট্রাইবেল আদাম বটগাছটি কাটার জন্য যান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জোবাইদা আক্তার, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিজয় কুমার জোয়ার্দার, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানার ওসি মুহাম্মদ আলী প্রমুখ।

এসময় স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়েন পুলিশ-প্রশাসনের কর্মকর্তারা। স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে আলোচনা করে তাদের দাবি মন্ত্রণালয়ে জানাবেন বলে স্থানীয়দের আশ্বাস দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন এডিএম জোবাইদা আক্তার। এছাড়া সে সময়ে সাংবাদিকদের ছবি ও ভিডিও করতেও বাধা প্রদান করেন পুলিশ কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম। 

স্থানীয়দের সাথে কথা জানা গেছে,  যে গাছটি দীর্ঘকাল ধরে স্থানীয়দের ছায়া ও অক্সিজেন দিয়ে আসছে সেটি কাটতে দিবেন না স্থানীয়রা। তবে তাদের কোনো আপত্তি নেই অফিস ভবন নির্মাণে।

এ প্রসঙ্গে ঐ এলাকার বাসিন্দা ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি সদানন্দ চাকমা জানান, ‘শত বছরের বটগাছটি কেটে ফেলতে একপক্ষ কাজটি করতেছে। এই গরমের দিনে স্থানীয়রা এখানে এসে বিশ্রাম নেন।

বটগাছটি নিয়ে স্থানীয়দের অনেক-আবেগ অনুভূতি রয়েছে। আমরা প্রশাসনকে দাবি জানিয়েছে, আমাদের একটাই কথা এই বটগাছ কাটতে দেব না।’ 

রাঙামাটি পৌরসভার কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন বলেন, ‘এই বটগাছটি শত বছরের; গাছটির কারণে এই এলাকাকে সবাই বটতলা নামে চেনেন। বটগাছটা পুরো এলাকার আশ্রয়স্থলের মতো।

বিশাল অংশজুড়ে ছায়া দেয়। শুনেছি এটা অধিগ্রহণ হয়েছে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য। এলাকাবাসীর কথা গাছটি যদি কেটে ফেলে স্থানীয়দের ছায়া বসে বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা থাকবে না।’

মেসেঞ্জার/শুভ/তারেক

Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_07/tp4l1yw3zz9u/public_html/bangla/details.php on line 768