ছবি : ডেইলি মেসেঞ্জার
যশোরে একদিনে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে একজনের পরিচয় মিলেছে। তিনি একজন ইজিবাইক চালক। অপরজনের পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নের সাতমাইলে রেললাইনের পাশ ও বসুন্দিয়া ইউনিয়নের সদুল্লাপুর ভৈরব নদ থেকে তাদের দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সাতমাইল এলাকার রেললাইনের পাশের ঝোপে এক যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। তার বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। যুবকের পরণে কালো গেঞ্জি ও টাউজার ছিল। পরে ৯৯৯ এ নম্বরে কল করে ঘটনাটি জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এলাকাবাসী তার পরিচয় জানাতে পারেননি। স্থানীয়দের ধারণা, দুর্বৃত্তরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ চলন্ত ট্রেন থেকে সাতমাইলে ফেলে যেতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রযুক্তির সাহায্যে তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এদিকে একই দিন বেলা ১১ টার দিকে বসুন্দিয়ার সদুল্লাপুর ভৈরব নদ থেকে ইজিবাইক চালক ইমনের (২০) বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজের দুইদিন পর পুলিশ তার লাশটি উদ্ধার করে। নিহত ইমন অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের পুড়াটাল গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সকালে ভৈরব নদের পাড় থেকে দুগন্ধ বের হচ্ছিল। এরপর তারা নদের পানিতে বস্তাবন্দি লাশ ভাসতে দেখেন। পরে তারা পুলিশে খবর দেয়া হয়। মুহুর্তে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ, ডিবি ও পিবিআই সদস্যরা। অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এপর ফিঙ্গার প্রিন্ট ও পকেটে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত হন। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে আসেন। নিহত ইমনের পিতা আবুল কালাম জানান, তার ছেলে (ইমন) একজন ইজিবাইক চালক।
২৮ এপ্রিল ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। তার মোবাইল ফোনের নম্বরও বন্ধ ছিলো। ইজিবাইক স্ট্যান্ডে খোঁজ নিলে অন্য চালকরা জানায়, ২৮ এপ্রিল বিকেলের দিকে ইমনকে বসুন্দিয়ার দিকে ভাড়া নিয়ে যেতে দেখেছে তারা। আবুল কালাম আরও জানান, ছেলের সন্ধান না পেয়ে ২৯ এপ্রিল অভয়নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ৩০ এপ্রিল পুলিশ খবর দেন ভৈরব নদের পানি থেকে তার ছেলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার হয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পর দুর্বৃত্তরা ইমনকে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে নদের পানিতে ফেলে দিয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্তে পুলিশ তৎপর রয়েছে। ওসি আরও জানান, হৈবতপুরের সাতমাইল রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের এখনো পরিচয় মেলেনি।মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
মেসেঞ্জার/সজিব