ছবি : মেসেঞ্জার
জরজীর্ণ ভবন, তাতে কোন আসবাবপত্র নেই, নেই কোন ফাইলপত্র, সারা অফিস ঘর ফাঁকা,কয়েকটা ছাগলের বিচরণ এর নাম মাদারগঞ্জ কেন্দ্রীয় বহুমুখি সমবায় সমিতি লিঃ (রেজিস্টেশন নং- ১৮৪) এই সাইনবোর্ড সর্বস্ব এই প্রতিষ্ঠানের নামে ৩২ টি সমবায় সমিতি থেকে প্রতিমাসে প্রায় ৪ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
ঐ সমিতির আওতায় অন্যান্য সমবায় সমিতিগুলোকে অবৈধ আমানত সংগ্রহের সহায়তা এবং সমিতির ব্যাপারে মদদ দেয়ার নাম করে প্রতিমাসে মাদারগঞ্জ কেন্দ্রীয় বহুমুখি সমবায় সমিতিকে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হতো।
এই সব চাঁদার টাকা তুলেছে ঐ সমিতির সভাপতি মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের অব্যাহতি পাওয়া যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রায়হান রহমতুল্লাহ রিমু ও সাধরাণ সম্পাদক মাদারগঞ্জ পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী নেতা কামরুল হাসান সুহেল।
এদিকে এই দুই জনের বিরুদ্ধে প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান দখল করে এর কোটি কোটি টাকার সম্পদ আত্নসাতের পায়তারা এবং লুটপাটের প্রতিবাদে গত শনিবার মানববন্ধন ও প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপী প্রদান করেছে এলাকাবাসী।
মাদারগঞ্জ কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চাঁদা তোলার একটি তালিকা ও একাধিক সমিতির কর্মকতার্রা এই চাঁদা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। প্রাপ্ত তালিকা থেকে জানা যায়, ‘সূধিজন ও সমস্যা সমাধানের জন্য সমিতির রেজুলেশন করে ঐ চাঁদা তোলা হতো।
উপজেলার ৩২ টি সমবায় সমিতি থেকে এই বিপুল পরিমান টাকা তুলে নিজেদের কব্জায় নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছন সমবায় সমিতির অধিকাংশ পরিচালকরা।
তাদের সমিতির তালিকা থেকে জানা যায়, বড় সমিতি থেকে ১ লাখ, মাঝারি সমিতি থেকে ৫০ হাজার, ছোট সমিতি থেকে ২০ হাজার ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা চাঁাদা নেয়া হতো।
জানা যায়, আল আকাবা সমবায় থেকে প্রতিমাসে ১ লাখ, শতদল সমবায় সমিতি থেকে ১ লাখ, নবদ্বীপ ও স্বদেশ থেকে ৫০ হাজার, সোনালী সমবায় সমিতি থেকে ২০ হাজার টাকা, অন্যান্য সমবায় থেকে ১০ হাজার, ৫ হাজার এমনকি ২ হাজার টাকা চাঁদা তোলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদারগঞ্জ কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ এর সাধারণ সম্পাদক ও মাদারগঞ্জ পৌর সভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান সুহেল এর সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি জানান, চাঁদা তোলার ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। তবে আামাদের কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির নামে কিছু চাঁদা তোলা হয়েছে।
তবে চার লাখ টাকা নয় বলে তিনি দাবী করেন। উপজেলা সমবায় অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, কেন্দ্রীয় বহুমুখি সমবায় সমিতি কি ভাবে চাঁদা নিয়েছেন। আমার জানা নেই। তারা কোন সমবায় সমিতি থেকে চাঁদা আদায় করতে পারে না। যদি চাঁদা আদায়ের ঘটনা ঘটে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
এদিকে ঐ দুই নেতা কতৃক ১৯২৩ সালে প্রতিণ্ঠিত প্রাচীনতম প্রাতিষ্ঠানের সম্পদ দখল করে এর কোটি কোটি টাকার টাকার জমি ও মূল্যবান সম্পদ আত্নসাতের পায়তারার প্রতিবাদে শনিবার সকালে মানববন্ধন ও প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপী প্রদান করেছে এলাকাবাসী।
মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন মাদারগঞ্জ ছায়ানীড় সংঘের সভাপতি আইয়ুব আলী খান, বালিজুড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শিবলুল বারী রাজু , মহসীন আলী,মাজেদ খান, স্বপ্না পারভীন প্রমুখ।
মেসেঞ্জার/উজ্জল/তারেক