ছবি : মেসেঞ্জার
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কাহালগাঁও দক্ষিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাগজেকলমে শিক্ষার্থী ৬৪ জন। বাস্তবে শিক্ষার্থী শুন্যের কোটায়। ৪ জন শিক্ষক থাকলেও বিদ্যালয়ে শিক্ষক থাকেন দুজন। লেখাপড়া না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চলে গেছে অন্য প্রতিষ্ঠানে।
উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের কাহালগাঁও দক্ষিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থী ছাড়া চলছে দীর্ঘদিন ধরে। দীর্ঘ বন্ধের পর দুদিনের জন্য খুলে ছিল বিদ্যালয়। তাপদাহের কারণে বিদ্যালয় বন্ধের আগের দিন সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিদ্যালয় পরিদর্শন করে দেখা গেছে দুজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে আছেন।
বাকি দুজনের মধ্যে নিলুফার ইয়াসমিন মাতৃত্বকালীন ৬ মাসের ছুটিতে আছেন। মাজাহারুল ইসলাম ইকবাল নামে এক শিক্ষক আছেন একদিনের ছুটিতে।
এ শিক্ষক নিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। দ্বিতীয় শিফটের তৃতীয় শ্রেণীর তিন শিক্ষার্থীদেরকে বসানো হয়েছে বারান্দার খুপড়িতে।
উপরে ফ্যান না থাকায় গরমে হাঁসফাঁস করছে। ৪র্থ শ্রেণীতে আছে ৪ জন। ৫ম শ্রেণীতে আছেন ১ জন। বিদ্যালয়টিতে ৩ টি শ্রেণীতে শিক্ষার্থী আছে ৮ জন মাত্র।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিল্পী আকতার বিদ্যালয়টি অপরিচ্ছন্ন, বারান্দায় কেন ক্লাস চলে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। বিভিন্ন সময় সরকারিভাবে দেওয়া স্লিপ ও মেরামতের টাকা তছরুপ হয় বিদ্যালয়ে গেলে তা স্পষ্ট বুঝা যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যালয়টিতে কোনো লেখা পড়া হয় না। শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেন মন চাইলে। বিদ্যালয়টি ইচ্ছামতো বন্ধ খোলার কারণে শিক্ষার্থীরা চলে গেছে অন্য প্রতিষ্ঠানে।
কতজন বিদ্যালয় থেকে উপবৃত্তি পায় জানতে চাইলে সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানাতে পারেননি। তবে তিনি তাপদাহের দোষ দিয়ে উপস্থিতি কম বলার চেষ্টা করেন। শীতকালেও একই পরিমাণ শিক্ষার্থী থাকে এ কথা বললে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
মেসেঞ্জার/কালাম/তারেক/হাওলাদার