ছবি : মেসেঞ্জার
গরু নিয়ে তুল কালাম। গত কয়েকদিন ধরে খুলনার পাইকগাছায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল গরু। একটি পক্ষের দাবি গরুটি হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির।
অপরদিকে গরুর মালিকের সেটি অস্বীকার। বিষয়টি নিয়ে চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে উপজেলার সর্বত্রই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু ছিল গরুটি আসলে কার এবং এই গরুটি পাইকগাছায় আসল কোথা থেকে ? এমন নানা প্রশ্নের ঘুরপাকা খাচ্ছে সর্বত্রই।
অবশেষে বৃহস্পতিবার (২ মে) গরুর প্রকৃত মালিক এসে গরুটি নিতে আসলে নতুন চমকের সৃষ্ঠি হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন এখনও চলছে।
অন্যের গরু ধরে এনে চালিয়ে দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্ঠা সফল হলোনা শেষ পর্যন্ত। এদিকে গরু চুরি ও মারপিটের ঘটনায় থানায় মামলা হলে মামলার আসামিরা আদালত থেকে জামিনে বাড়ি এসে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলার বাদী অমিত মন্ডল প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া গোয়ালবাড়ির চক এলাকার বাসিন্দা মনিকান্ত মন্ডলের ছেলে অমিত মন্ডলের সাথে একই এলাকার জেবারুল ইসলাম বুলুর সাথে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় (১০ এপ্রিল) জেবারুল ইসলাম বুলু সহ তার সঙ্গীয় ৪/৫ জনকে নিয়ে অমিত মন্ডল কে মারপিট করে আহত করে।
পরে (১২ এপ্রিল) অমিত কে এলাকা ছাড়া করতে জেবারুল ইসলাম বুলু সহ তার সঙ্গীয় বদরুজ্জামান সরদার, জুলফিক্কার সরদার, বাবু সরদার ও জাহিদুল ইসলাম স্থানীয় আমিরপুর বিল হতে অমিতের ৪ টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় বলে জানান অমিত মন্ডল।
আর এ ঘটনায় কোন উপায়ন্ত না পেয়ে প্রতিকার পেতে গত ২১ এপ্রিল পাইকগাছা থানায় মারপিট ও গরু চুরির মামলা করেন অমিত মন্ডল।
পরে মামলার এজাহার ভুক্ত আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেয়ে মামলার বাদী সহ বাদীর পরিবার কে নানাবিধ হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে বলে জানান মামলার বাদী।
অপরদিকে আসামিরা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে মাঠ থেকে অন্যের গরু ধরে এনে বাদীর গরু বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা অব্যহত রাখে বলে অভিযোগ তোলেন বাদী অমিত মন্ডল।
গতকয়েকদিন ধরে আসামী পক্ষের লোকজন জোর করে বাদিকে গরুটি তার বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্ঠা চালিয়ে যায় এবং নানা ধরনের চাপ সৃষ্ঠি করতে থাকে। এমনকি বাদির বাড়িতে পর্যন্ত গরুটি রেখে আসে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মফিজুর রহমান জানান, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে আশাশুনির বড়দল এলাকা থেকে একটি গরু উদ্ধার করি।
পরবর্তীতে গরুটির প্রকৃত মালিক যাচাইয়ের জন্য স্থানীয় মিনহাজ বাজরের পাশে গরুটি ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু গরুটি মামলার বাদীর বাড়িতে যাই নাই। এমনকি গরুটি এই এলাকার নয় বলে তিনি জানান।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২ মে) সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বড়দল মধ্যমপাড় গ্রামের মৃত পরান গাজীর ছেলে মোঃ আয়ুব আলী গাজী দাবি করেন গরুটি তার।
আয়ুব আলী সাংবাদিকদের জানান, তার তিনটি গরুর মধ্যে একটি গরু হারিয়ে যায়। যেটি তার এলাকা থেকে পাইকগাছা এলাকার রাজ্জাক ও জুলফিক্কার নামে দুই ব্যক্তি নিয়ে আসে।
বর্তমানে গরুটি তাদের বাড়িতে আছে। যারা গরুটি নিয়ে এসেছে তারা উক্ত মামলার বিবাদি বলে অমিত জানিয়েছেন। থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমান জানিয়েছেন, মামলার বাদি অমিতের গরু এটি নয়।
গরুর প্রকৃত মালিকের কাছে যাচাই বাছায় শেষে গরুটি হস্তন্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার এখনও নানা গুঞ্জন অব্যহত রয়েছে।
মেসেঞ্জার/সবুজ/তারেক