ছবি : সৌজন্য
ঢাকার আশুলিয়ায় শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগে ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ ভূইয়ার ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির আহমেদ কাব্য ভূঁইয়াসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার (৪ মে) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নির্মল কুমার দাস। মামলাটি দায়ের করেন সাইফুল ইসলাম নামে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী।
মামলার আসামিরা হলেন, সাব্বির আহমেদ কাব্য ভূঁইয়া (২৩), মনোয়ার হোসেন রাজকুমার রাজু (২৮), সোহাগ (২৬), মারুফ ভুঁইয়া (২৫), ইমন (২৮) ও ইভান (১৮)। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরো ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অপরদিকে ভুক্তভোগীরা হলেন, কলেজ শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান (২২), নূর হাসনাত নাধভি (১৮), হিমেল ভূঁইয়া (২১), সাইফুল ইসলামসহ (২৩) ৯ জন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে সাইফুল ইসলামসহ হিমেল ভূঁইয়া, আল আমিন, নাঈম, নাহিদ হাসান, নূর হাসনাত নাধভি ও তার সহপাঠীরা আশুলিয়ার জামগড়া বটতলা এলাকার রেইন ফরেস্ট পার্কের সুইমিং পুলে গোসল শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে জামগড়া এলাকার আরফান মার্কেট এলাকায় ইয়ারপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির আহমেদ কাব্য ভূঁইয়ার নেতৃত্বে অভিযুক্তরা ধারালো রামদা, রড ও হকিস্টিক নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। এসময় সাইফুল ইসলামসহ অন্যরা মারধরের শিকার হন। পরে স্থানীয়রা আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় ভুক্তভোগীদের ব্যবহৃত ১৫০ সিসির একটি পালসার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা।
এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন প্রধান অভিযুক্ত সাব্বির আহমেদ কাব্য ভূঁইয়া। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নির্মল কুমার দাস বলেন, মামলা দায়েরের পর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
মেসেঞ্জার/সজিব