ছবি : মেসেঞ্জার
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি দুটি উপজেলাতে (৮ মে) বুধবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।মঙ্গলবার (৭ মে) বেলা ১২টা থেকে দুই উপজেলার ১৬৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে দুর্গম চরাঞ্চলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানোর কাজ শুরু হয়।
নির্বাচনী সরঞ্জামাদীর মধ্যে রয়েছে ব্যালট পেপার, ব্যালট বক্স, স্ট্যাম্প প্যাড এবং অমুচনীয় কালি। (৮ মে) ভোট গ্রহন ও ফলাফল গণনা শেষে পুনরায় নির্বাচনী কর্মকর্তারা ফিরে আসবেন।
গাইবান্ধা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল মোত্তালিব বলেন, প্রথম ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে ২টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর প্রথম ধাপের এ নির্বাচনে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলায় সর্বমোট ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তিনি আরও বলেন, মূলত দুর্গম এলাকার কথা বিবেচনা করে আগেই নির্বাচন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ব্যালেট পেপার এবং অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
আগামীকাল উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে ব্যালেট পেপার এবং নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হবে। এ সময় বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ উপস্থিত থেকে এই নির্বাচনী সরঞ্জাম গ্রহণ করে বিভিন্ন কেন্দ্রের উউদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
এ নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. সামীল আরেফিন টিটু।
সংরক্ষিত নারী ভাইস- চেয়ারম্যান পদে ২ জন রওশন আরা বেগম ও সাবেক সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজনীন বেগম।
এছাড়া ৯ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন, সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, মিলন কান্তি সরকার,আব্দুল মজিদ, রোস্তম আলী, মোখলেছুর রহমান, শাহজাহান আলী, উজ্জ্বল হোসেন, মমিতুল হক নয়ন ও আমির হোসেন।
এদিকে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জি এম সেলিম পারভেজ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ।
সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আঞ্জুমনোয়ারা বেগম মেরী, সাবেক সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা বেগম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাখিয়া পারভীন, মিনু বেগম ও রাবেয়া খাতুন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হুকুম আলী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, আব্দুল সাত্তার, রাশেল বিন ওয়াহেদ, আমজাদ হোসেন ও ইব্রাহিম আলী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উল্লেখ্য, ফুলছড়িতে ৭ টি ও সাঘাটা উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে এই দুই উপজেলা গঠিত। এরমধ্যে ফুলছড়িতে ৬০টি ভোট কেন্দ্র ১ লাখ ২৬ হাজার ৪০ জন ভোটার রয়েছেন এবং সাঘাটা উপজেলায় ১০৩ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪১ হাজার ৭১২জন।
মেসেঞ্জার/শাকিল/তারেক