ঢাকা,  রোববার
১৯ মে ২০২৪

The Daily Messenger

উখিয়া উপজেলা নির্বাচন : প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বেবি

উখিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:২৬, ৭ মে ২০২৪

আপডেট: ২০:৩৩, ৭ মে ২০২৪

উখিয়া উপজেলা নির্বাচন : প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বেবি

ছবি : মেসেঞ্জার

গরীব-মেহনতী মানুষের জনদরদী হিসেবে পরিচিত, পরোপকারী, ন্যায়পরায়ণ গুণাবলীর অধিকারী, মহিলা নেত্রী কামরুন্নেছা বেবী। যিনি গেল ৫টি বছর জনগণের কাতারে থেকে নিরলসভাবে জনকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত থেকে মানুষের সেবায় কাজ করে আসায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।

যার কারণে সাধারণ মানুষের কল্যাণে একজন সদা নিবেদিত প্রাণ হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন উখিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আবারো ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে সর্বস্তরের জনগণের মাঝে নতুনভাবে সাড়া ফেলেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তরুণ, মেধাবী পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে স্থানীয়ভাবে তাঁর অবস্থান অনেকটাই পোক্ত করেছেন কামরুন্নেছা বেবী।

গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর দাপ্তরিকভাবে জনসাধারণের সেবা করার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে আসছেন।

এছাড়া ইতোমধ্যে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের সঙ্গে সালাম ও দোয়া বিনিময়ের মাধ্যমে জানাচ্ছেন যে তিনি জনগণের পাশে আছেন, থাকবেন। সমাজের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের অধিকার আদায়ে বিগত দিনগুলোতে তিনি লড়াই সংগ্রাম করেছেন।

জানা গেছে, আসন্ন উখিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অলিগলি, রাস্তাঘাট ও দোকানপাটে এখন শুধু উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা।

তারই ফলশ্রুতিতে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে নির্বাচনী হাওয়ায় মাঠ গোচানোর কাজে ব্যস্ত সময় কাটিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বেবী।

তিনি বিগত ৫ বছর স্বচ্ছতার সাথে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের কারণে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিচিতিসহ অসংখ্য সমর্থক রয়েছে।

এছাড়া সর্বদলীয় মানুষের সুখে-দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে গ্রহণ করেছেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। ধর্ম-বর্ণের বৃত্তের বাইরে গিয়ে, নানা জনহিতকর কাজ করার মহান শিক্ষা অর্জনের মধ্যদিয়ে- নিজেকে একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বি নারী নেত্রী হিসেবে নিজেকে ইতমধ্যেই যেমন গড়ে তুলেছেন, তেমনি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের সুবিধা সমূহ সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, কামরুন্নেছা বেবীর আর্তমানবতার সেবায় গৃহীত পদক্ষেপগুলো অতি ব্যাপক ও বিস্মৃত। অসংখ্য অভাবীদের অন্ন- বস্ত্র- বাসস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি, বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানে নিয়েছেন কার্যকর পদক্ষেপ।

এদিকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে মাঠ দাঁপিয়ে বেড়ানো, বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নেছা বেবীর নির্বাচনী এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তা অন্যান্য প্রার্থীর চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন।

কেননা বিগত ৫ বছর এ পদে দায়িত্বে থেকে সততা ও নিষ্টার সাথে অবহেলিত এলাকার সমস্যা দূরীকরণ ও সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

বিগত ৫ বছরে তিনি প্রায় ২ কোটি টাকা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। এর মধ্যে ছিলো মাদ্রাসা, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কার্লভাট, রাস্তাঘাট, মন্দির ও শ্মশান।

তাই কামরুন্নেছা বেবীর বিজয় শতভাগ নিশ্চিত হবে বলে প্রবীণ রাজনীতিবীদ, ধর্ম বর্ণ, দল মত নির্বিশেষে জোড়ালোভাবে তাকে সমর্থন জানিয়ে পূণরায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করার অভিমত ব্যক্ত করছেন সাধারণ ভোটাররা।

অন্যদিকে কামরুন্নেছা বেবী বিভিন্ন সভা সমাবেশে জনসাধারণের কাছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূণরায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও তিনি তাঁর সকল যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে উপজেলার অবহেলিত জনগণের জীবনের মান উন্নয়নের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও কাজ করবেন মর্মে অঙ্গিকার করে আসছেন।


উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে নির্বাচনী মাঠে প্রার্থীদের প্রচারণা দেখা গেছে , প্রার্থীরা হাট বাজার, চা স্টলে এখন শুধু কামরুন্নেছা বেবীর অতীত কর্মকাণ্ড নিয়েই আলোচনা রয়েছে।

ইতিপূর্বে যারা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তাদের কে ভোটের পর ৫ বছর আর কোন দিন চোখে দেখেননি। কিন্তু বিগত ৫ বছর বেবী সার্বক্ষণিক ভাবে এলাকায় অবস্থান করে মানুষের সুখে দু:খে পাশে থাকার বিষয়টি সবাই মুখে মুখে, এখন শুধু তার এই বিষয়টি আলোচনায় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ভোটারদের কাছে।

তবে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নেছা বেবী একজন সৎ, স্বজ্জন মহিলা নেত্রী হওয়ায় তাকে পূণরায় নির্বাচিত করতে চায় উপজেলাবাসী।

ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নেছা বেবীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শীতার কারণে এলাকার ধারাবাহিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে মাথায় রেখে উখিয়ার মানুষের পাশে থেকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবানের লক্ষ‍্যে কাজ করার ব্রত নিয়ে আবারো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়াও তিনি সকল শ্রেণির মানুষের দোয়া ও সালাম জানিয়ে উখিয়া উপজেলার সকল জনগণের দোয়া ও সহযোগী নিয়ে তিনি আবারো মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, উখিয়া-টেকনাফের সুযোগ্য, জনপ্রিয় ও দুই বারের এমপি শাহীন আক্তার চৌধুরী ও সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির সহযোগিতায় অনেক উন্নয়ন করেছেন যার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান। 

অতীতের মতো ভবিষ্যতেও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী পরামর্শে ও দিকনির্দেশনায় এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমি বিগত ৫ বছর স্বচ্ছতার ও জবাবদিহীতার সাথে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে়ছি। নারীদের ক্ষমতায়নে কাজ করেছি।

আমি পুনরায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আমি আমার সকল যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে উপজেলার অবহেলিত জনগণের জীবনের মান উন্নয়নের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও কাজ করবো এবং প্রত্যেকটা ওয়ার্ডের অসম্পন্ন থাকা কাজগুলোকে চিহ্নিত করে সম্পন্ন করার জন্য চেষ্টা করবে বলে আশ্বস্থ করেন।

সাধারণ মানুষের দাবি, তিনি একজন ক্লিন ইমেজের প্রার্থী। তাঁর বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের কোনো অভিযোগ নেই। উখিয়াবাসী এবারও তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন। যেখানে থাকবে না দুর্ভোগ। থাকবে এলাকার উন্নয়ন ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন।

সরেজমিনে গিয়ে নারী ভোটারদের সাথে আলাপ করলে অধিকাংশ ভোটার বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কামরুন্নেছা বেবী একজন ভালো নারী নেত্রী, তিনি অতীতেও মানুষের পাশে ছিলেন। মানবিক কাজে তাকে সবসময় পাওয়া যায়। 

মানুষের উপকার করেছেন বলে আজ তার ডাকে সাড়া দিচ্ছেন, অন্য সব সম্ভাব্য প্রার্থীদের চেয়ে তার গণজোয়ার বইছে প্রতিটি পাড়া মহল্লায়।

উল্লেখ্য, কামরুন্নেছা বেবী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। পাশাপাশি উখিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং হলদিয়াপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আমিনুল হক আমিনের সহধর্মিণী।

এদিকে, কামরুন্নেছা বেবী ছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা মাঠে রয়েছেন তারা হলেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন আকতার ও হলদিয়াপালং ইউনিয়নের বাসিন্দা সানজিদা আক্তার মায়া।

তাদের মধ্যে একজন দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এলাকায় ছিলেন না, মানুষ তাকে সুবিধা অসুধিয়া কাছে পায়নি, অন্যজন অখ্যাত ও অপরিচিত এলাকার ভোটারদের কাছে।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ইসি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ৮ মে পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তির জন্য সময় রাখা হয়েছে তিনদিন।

৯ থেকে ১১ মে আপিল নিষ্পত্তি হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৩ মে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩১২ জন। এর মধ্যে ৭৭ হাজার ৪৭ জন পুরুষ এবং মহিলা ভোটার ৭২ হাজার ২৬৫ জন।


শহিদুল

মেসেঞ্জার/শহিদুল/তারেক

Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_07/tp4l1yw3zz9u/public_html/bangla/details.php on line 768