ছবি : মেসেঞ্জার
রাজশাহীতে জাতীয় জ্বালানি রূপান্তর নীতি ও পরিকল্পনা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) রাজশাহীর একটি রেস্তোরাঁর হলরুমে সভার আয়োজন করে।
ক্যাবের জেলা সভাপতি কাজী গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলী, দৈনিক সোনার দেশ সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, মুস্তাফিজুর রহমান খান, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান, সেভ দ্য ন্যাচার অ্যান্ড লাইফের সভাপতি মিজানুর রহমান, নাগরিক ভাবনার আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান ও নর্থবেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসরিন লুবনা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এরআগে মতবিনিময় সভায় শুরুতে জ্বালানী বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। তিনি বাংলাদেশের সংবিধান, বিভিন্ন আইন, বিধিমালায় জ্বালানি বিষয়ে নাগরিকদের অধিকার নিয়ে আলোকপাত করেন।
পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে তিনি দেখান এই বিষয়ে পুরোপুরি নাগরিক অধিকার প্রাপ্তিতে আইনের ফাঁক রয়েছে। ২০০৯ সালের জাতীয় ভোক্তা অধিকার আইনেও ভোক্তারা প্রতিকার পাচ্ছে না বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
সভায় ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি সংকট ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা ও দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্যাবের প্রস্তাবিত ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জাানয়ে বক্তারা বলেন, সরকার জ্বালানি খাতে বিপুল অর্থব্যয় করছে কিছু মানুষ, প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেওয়ার জন্য।
বর্তমান সরকারের ১৪ বছরে শুধু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভাড়া বাবদ সরকার ব্যয় করেছে ১ লাখ কোটি টাকা। এত বিপুল পরিমাণ ব্যয়ের পরও গ্রামাঞ্চলের মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না।
সরকারকে এ জন্য বিকল্প চিন্তা করতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি হবে টেকসই। এ জন্য মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি জ্বালানি বৈষম্য দূর করতে হবে।
মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/তারেক