ঢাকা,  সোমবার
২০ মে ২০২৪

The Daily Messenger

বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে নির্যাতনের অভিযোগ চিকিৎসক ছেলের বিরুদ্ধে

নাটোর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ৮ মে ২০২৪

বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে নির্যাতনের অভিযোগ চিকিৎসক ছেলের বিরুদ্ধে

ছবি: মেসেঞ্জার

নাটোরে গুরুদাসপুরে  চিকিৎসক ছেলে সুজাউদ্দৌলা বিরুদ্ধে পিতা-মাতাকে নির্যাতনের অভিযোগ। ছেলে সুজাউদৌল্লা এখন গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার। নিজের রক্ত পানি করে চিকিৎসক বানানো সেই ছেলের কাছেই জায়গা হচ্ছে না বৃদ্ধ পিতা-মাতার।

ভরণপোষণ না দিয়ে উল্টো পিতামাতাকে বাড়ি থেকে বিতারিত করতে চালাচ্ছেন নির্যাতন। ছেলের নির্যাতন থেকে রক্ষা এবং ভরণপোষণের দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার (৭ মে ) সকালে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বৃদ্ধা মা মনিরা বেগম। অভিযুক্ত চিকিৎসক সুজাউদৌল্লা গুরুদাসপুর পৌর সদরের আনন্দনগর মহল্লার খাইরুল ইসলামের ছেলে। তিনি প্রায় দেড় বছর ধরে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের দায়িত্বে আছেন।

বৃদ্ধা মা মনিরা বেগম বলেন- গরিব হওয়া সত্তেও ছেলেকে চিকিৎসক বানিয়েছেন। ছেলেকে ডাক্তারি পড়াতে গিয়ে সহায় সম্বল সব হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব। একমাত্র ছেলে হওয়ায় মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকুও লিখে দিয়েছেন ছেলের নামেই।

তিনি আরোও বলেন- ছেলে চিকিৎসক হলেও তাদের ভরণপোষণ দেন না। পেটের তাগিদে অসুস্থ্য শরীর নিয়ে ভ্যান চালান তার স্বামী খাইরুল ইসলাম। যা আয় হয় তাতেই কোনোমতে দিনাতিপাত করেন তারা। এখন বাড়ি থেকে তাদের বের করে দিতে চিকিৎসক ছেলে নিয়োমিত শারীরিক মানষিক নির্যাতন শুরু করেছেন। ছেলের নির্যাতন সইতে না পেরে প্রতিকার চেয়ে তিনি ইউএনও অফিসে অভিযোগ দিয়েছেন।

পিতা খাইরুল ইসলাম বলেন- বাড়ি থেকে বের করে দিতে চিকিৎসক ছেলে সুজাউদৌল্লা অকাথ্য ভাষায় গালমন্দ করছেন। গায়ে হাত তুলছেন। অথচ সব শেষ করে সেই ছেলেকেই তিনি চিকিৎসক বানিয়েছেন। ছেলের নামে লিখে দেওয়া ভিটেমাটিও ফেরত চান তিনি।

অভিযুক্ত চিকিৎসক সুজাউদ্দৌলা বলেন- পিতামাতা তাকে ডাক্তারি পড়ার খরচ দেননি। তাছাড়া পিতামাতার হওয়ার যোগ্যতাও হারিয়ে ফেলেছেন খাইরুল-মনিরা দম্পতি। তারপরও তিনি পিতামাতাকে ভরণপোষণ দিতে চাইলে পিতামাতা তার কাছে আসেন না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন- পিতামাতার বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার চিকিৎসক সুজাউদৌল্লাকে সতর্ক করেছেন তিনি। কিন্তু সুজাউদৌল্লা কোনো কথাই শুনছেন না।

চিকিৎসক সুজাউদৌল্লার বিরুদ্ধে মায়ের দায়ের করা অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন- ইতিমধ্যে চিকিৎসক সুজাউদৌল্লাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেসেঞ্জার/ফারদিন

Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_07/tp4l1yw3zz9u/public_html/bangla/details.php on line 768