৯ম বর্ষে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা অতিক্রম করেছে সাফল্যগাঁথা আটটি বছর। ১৭ জুলাই ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ৯ম বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে। প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক-জনসংযোগ মোঃ কামরুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আট বছর আগে এদিনে ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-যশোর রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশের আকাশপথে যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা। অভ্যন্তরীণ রুটে এয়ারলাইনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, বরিশাল, রাজশাহীতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

যাত্রা শুরুর দু’বছরের মধ্যে ২০১৬ সালের ১৫ মে ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মধ্যেমে আন্তর্জাতিক রুটে ডানা মেলে ইউএস-বাংলা। এখন আন্তর্জাতিক রুটগুলোর মধ্যে রয়েছে কলকাতা, চেন্নাই, মালে, মাস্কাট, দোহা, দুবাই, শারজাহ, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক ও গুয়াংজু।

সামনে জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম, মদিনা, আবুধাবি, দিল্লি রুটেও ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। চলতি বছর ইউএস-বাংলার বহরে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও তিনটি ব্র্যান্ড নিউ এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এছাড়া ২০২৩ সালের মধ্যে লন্ডন, রোম, আমস্টারডাম-সহ ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্য ও ২০২৫ সালের মধ্যে নিউইয়র্ক ও টরেন্টোতে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা।

বর্তমানে ইউএস-বাংলার বহরে মোট ১৬টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, সাতটি ব্র্যান্ড নিউ এটিআর ৭২-৬০০ এবং তিনটি ড্যাশ৮কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট আছে।

যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯০ শতাংশের বেশি অন-টাইম ফ্লাইট পরিচালনার রেকর্ড রয়েছে ইউএস-বাংলার। দেশে-বিদেশে বর্তমানে প্রায় ১৮০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে ইউএস-বাংলার। নিয়মিত ট্যাক্স-সারচার্জ পরিশোধ করে দেশের অর্থনীতির চাকাকেও সচল রাখছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইউএস-বাংলার টিকিট সংগ্রহের জন্য রয়েছে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপস সুবিধা। রয়েছে হোম ডেলিভারির সুবিধাও। দেশে ও দেশের বাইরে আছে নিজস্ব ৪০টিরও বেশি সেলস অফিস। ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লায়ারদের জন্য রয়েছে ‘স্কাইস্টার’। যার মাধ্যমে শুধু টিকিটেই সুবিধা থাকছে না, বরং যাত্রীরা বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ক্রয়েও ডিসকাউন্ট পেয়ে থাকেন।

স্বাধীনতার পর ইউএস-বাংলা একমাত্র দেশীয় বিমান সংস্থা যা, চীনের কোনও গন্তব্যে বা ভারতের চেন্নাই কিংবা মালদ্বীপের মালেতে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। সার্ভিসগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরণের পর মাত্র ১৫ মিনিটে লাগেজ ডেলিভারি।

‘আপনি লাগেজের জন্য অপেক্ষা করবেন না বরং লাগেজ আপনার জন্য অপেক্ষা করবে’- এই ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করতেই ইউএস-বাংলা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ২০ শতাংশ মূল্যছাড়সহ রয়েছে আরও সুযোগ-সুবিধা।

ইউএস-বাংলা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যে কার্গোও পরিবহন করছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসহ খেলাধুলার উন্নয়নেও প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে আছে ইউএস-বাংলা।

নবম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমরা যেকোনও চ্যালেঞ্জ গ্রহণে প্রস্তুত। যাত্রীদের সঠিক সেবা প্রদানে ব্র্যান্ডনিউ এয়ারক্রাফটের বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যেই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এয়ারক্রাফট বহরে যুক্ত করে চলেছে ইউএস-বাংলা। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে ইউএস-বাংলা পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সাফল্যে ভরা আট বছরের সঙ্গে যে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন করপোরেট অফিস, বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ, সর্বোপরি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত যেসকল কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন তাদের সকলের প্রতি ইউএস-বাংলা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।’