ছবি : সংগৃহীত
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হলেন সুনিধি চৌহান । দেরাদুনের এসজিআরআর বিশ্ববিদ্যালয়ে পারফর্ম করার সময় সুনিধির দিকে ছুড়ে মারা হয় পানির বোতল । শ্রোতাদের যখন গানে মাতিয়ে রাখছিলেন, মেতে উঠছিল গোটা স্টেডিয়াম, তখন সামনের সারিতে বসা জনৈক তাঁর দিকে পানির বোতল ছুড়ে মারেন।
এ ঘটনা রীতিমতো সুনিধি চৌহানকে হতবাক করে দিলেও দেখা যায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নিজেকে সামলে নেন তিনি। তারপর সেই ভক্তের দিকে তাকিয়ে তিরস্কার করেন। সুরে সুরেই তিনি বলে ওঠেন, ‘আপনি আমার দিকে বোতল নিক্ষেপ করলে কী হবে? অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। আপনি কি এটি চান?’
এই কনসার্ট থেকে কিছু ছবিও শেয়ার করে নেন সুনিধি চৌহান সোশ্যাল মিডিয়ায়। গ্লিটারি টপ, কালো শর্টস গায়ে ছিল গায়িকার। খোলা চুল, পায়ে লং বুট। একেবারে রকস্টার লুক। ক্যাপশনে তিনি লিখলেন, ‘তুমি কি কখনো ছিলে আমার পার্টিতে? দেখো সেটা কেমন হয়।’
‘শিলা কি জওয়ানি’, ‘ধুম মচালে’, ‘ক্রেজি কিয়া রে’, ‘দেশি গার্ল’, ‘শামি শামি’র মতো গান তিনি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। কদিন আগেই সুনিধিকে কথা বলতে শোনা গিয়েছিল ওজন ঝরানো নিয়ে। করোনা আর লকডাউন চলাকালীন নাচও শেখেন তিনি।
এই নিয়ে সুনিধিকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘মহামারি চলাকালীন আমি পেশাদারভাবে নাচ শেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এটি আমার শোতে একটি দুর্দান্ত অ্যাড-অন হয়ে উঠেছে বর্তমানে। আমি সব সময় একজন গায়ক এবং ভালো পারফরমার হতে চেয়েছিলাম। প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়, কারণ লাইভ নাচের পাশাপাশি লাইভ গান গাওয়া সহজ নয়। শ্বাসের সঠিক নিয়ন্ত্রণ লাগে। এর আগে আমি হিল পায়ে দিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াতে পারতাম না। এখন সেগুলো পরে নাচ করি।’
ওজন ঝরানো নিয়ে সুনিধি আরও বলেছিলেন, ‘আমি প্রতিদিন ব্যায়াম করি। সপ্তাহে তিন দিন কার্ডিও করি এবং অন্য তিন দিন চলে ওয়েট ট্রেনিং। খাবারের ক্ষেত্রে আমি স্বাস্থ্যকর জিনিস খাই। সেভাবে ডায়েট করি না। আমার চিট ডে-ও আছে, মাঝে মাঝে তেঘের (সুনিধি চৌহানের ছেলে) খাবারেও ভাগ বসাই।’
মেসেঞ্জার/মুমু