ছবি: বিসিবি
বাংলাদেশের ইনিংসে একবার হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। তবে সেটা ম্যাচের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। ক্ষতিটা হয়েছে ভারতের ইনিংসে বৃষ্টির বাগড়ায়। নির্ধারিত সময় পেরিয়েও ম্যাচ মাঠে না গড়ানোয় বৃষ্টি আইনে ভারতের কাছে হেরে গেছে টাইগ্রেসরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ডিএলএস পদ্ধতিতে ১৯ রানের জয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল হারমানপ্রীত কৌরের দল। এর আগে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪৪ রানের জয় পেয়েছিল তারা।
তবে মঙ্গলবার বৃষ্টি আরেকটু আগে আসলে হার এড়াতে পারত টাইগ্রেসরা। কারণ ক্রিকেটের নিয়মানুযায়ী টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ফল নির্ধারণে উভয় দলকে কমপক্ষে ৫ ওভার খেলতে হতো। সেখানে বৃষ্টির বাধার আগে ৫.২ ওভার খেলে ফেলেছিল ভারত। তার ওপর প্রয়োজনীয় রানের তুলনায় বেশ এগিয়ে ছিল তারা।
বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হওয়ার আগে ১২০ রান তাড়া করতে নেমে ৫.২ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান সংগ্রহ করেছিল ভারতের মেয়েরা। ডিএলএস পদ্ধতিতে এ সময় তাদের দরকার ছিল কেবল ২৮ রান। সেখানে তারা স্কোরকার্ডে ১৯ রান বেশি যোগ করেছিল। যার পুরো কৃতিত্ব হেমলতার। দলীয় ১ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ক্রিজে নেমেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে থাকেন তিনি।
২৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। তবে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ায় আক্ষেপ আছে তারও। আর কয়েকটা বল মোকাবিলা করলে ফিফটির মাইলফলকও স্পর্শ করতে পারতেন তিনি। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে একমাত্র সফল মারুফা আক্তার। ২.২ ওভার বল করে ১১ রান খরচায় তিনি শিকার করেছেন শেফালি বার্মাকে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১১৯ রানে অলআউট হয়েছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ৪৯ বলে ৪৬ রান করে ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হন মুর্শিদা খাতুন। এছাড়া রিতু মনি ২০ আর সোবানা মোস্তারি ১৯ রান করেছেন। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন রাধা যাদব।
মেসেঞ্জার/হাওলাদার