ছবি : মেসেঞ্জার
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মো. নোমান (৩৫) নামে এক গ্রাম পুলিশের (চৌকিদার) ওপর হামলা করেছে ‘খোকন বাহিনী’র সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে নোমানের ছোটভাই এরশাদ হামলার বিষয়টি জানিয়েছে। এর আগে বুধবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজারে এ ঘটনা ঘটে। জমি বিক্রি করায় দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে এ হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে। গুরুতর আহত নোমানকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় একটি দস্যু বাহিনীর প্রধান মো. খোকন ওরফে খোকন ডাকাত এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। আহত নোমান চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসছেন। তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যায় চরের চেয়ারম্যান বাজারে চরের দস্যু খোকন ও বাহিনীর সদস্যরা তার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে তিনি গুরুতর জখম হন। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এরশাদ আরও জানান, স্থানীয় বাসিন্দা সেকান্দর সিকদারের ছেলে কাশেম সিকদার তার দখলিকৃত জমি বিক্রি করেন। প্রতি দাগ জমি বিক্রি করলে খোকন ডাকাত বাহিনীকে দুই হাজার করে দিতে হয়। কিন্তু কাশেম চাঁদার টাকা খোকনকে দেয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে খোকন ডাকাত ও তার বাহিনীর সদস্যরা আমার ভাইয়ের ওপর হামলা করে। বাজারের পাশে তাকে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রাতেই ট্রলারযোগে ভাইকে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
অভিযোগ, খোকনের সঙ্গে হামলায় অংশ নেয় চর আবদুল্লাহর আবুল খায়ের ছেলে ফয়সল, আবুল শহীদের ছেলে সিরাজ, নুরুল ইসলামের ছেলে শেখ ফরিদ, আব্দুর রশিদের ছেলে মতিন। চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মঞ্জুর বলেন, নোমানের ওপর হামলার বিষয়টি ইউএনও এবং থানার ওসিকে জানিয়েছি। তাকে এখন চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা খুবই গুরুতর। রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, হামলার বিষয়টি অবগত হয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেসেঞ্জার/শিবলু/তারেক