ছবি : মেসেঞ্জার
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মর্ত্তুজা হাসান গ্রেফতারের পর জামিন পেয়েছেন। প্রায় ৬ বছর ধরে গ্রেফতারী পরোয়ানা নিয়ে চলাফেরা করছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মর্ত্তুজা হাসান।
বিষয়টি পুলিশের নজরে আসলে সোমবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করে তাকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
মঙ্গলবার বেলা ১০টায় তাকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ তার জামিন মঞ্জুর করেন। মর্ত্তুজা হাসান হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
হবিগঞ্জ জেলা এডভোকেট সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল মোছাব্বির বকুল জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- একটি মারামারির মামলায় পুলিশ আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মর্ত্তুজা হাসানকে গ্রেফতার করে।
পরে বিজ্ঞ আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত উভয় পক্ষের শোনানী করেন। শোনানী শেষে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ জামিন মঞ্জুর করেন।
আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ জানান- সোমবার দিবাগত রাতে আদালতের পরোয়ানা অনুযায়ী আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মর্ত্তুজা হাসানকে তাঁর বাসা থেকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
উল্লেখ্য- ২০১৭ সালে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মর্ত্তুজা হাসানকে প্রধান আসামী করে একপি মারামারির মামলা হয়। ২০১৮ সালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এই পরোয়ানা নিয়েও পলাতক থাকা মর্ত্তুজা হাসান গ্রেফতার হয়নি। এ সময়ের মধ্যে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে জেলা ও উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা এবং উন্নয়ন সমন্বয় সভা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক মিছিল মিটিংয়ে অংশগ্রহণ নিয়েছেন।
এর মধ্যে অধিকাংশ মিটিংয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মেসেঞ্জার/পাবেল/তারেক